ম্যাচের ২৭ মিনিটে কর্নার নিতে গেলে ইন্তারনাসিওনাল দি লিমেইরার দর্শকরা দুয়ো ধ্বনি দিতে শুরু করেন নেইমার জুনিয়রকে। হাত কানের কাছে নিয়ে প্রতিপক্ষের দর্শকদের আরও জোড়ে চিৎকার করার ইঙ্গিত দেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার।
এরপর কর্নারে যে শটটি তিনি নিলেন তাতে স্তব্ধ হয়ে যায় দি লিমেইরার সমর্থকরা। নেইমারের নেওয়া বাঁকানো শট দূরের পোস্টে লেগে সরাসরি চলে যায় জালে। গোল করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো উদ্যাপন করতে দেখা যায় নেইমারকে। পর্তুগিজ মহাতারকার মতোই গোল করে বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপর বসে পড়েন ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ এই গোলদাতা।
কর্নার থেকে নেইমারের করা এই গোলটি পরিচিত অলিম্পিক গোল নামে। ১৯২৪ সালে সে সময়ের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে কর্নার থেকে সরাসরি গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সিজারো ওনজারি। এরপর থেকেই এই গোলটি পরিচিতি পায় এই নামে।
এমন দিনে নেইমার গোলটি করেছেন যেই ম্যাচে তিনি ৫০০ দিন পর খেলেছেন ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট। এর আগে নেইমার সব শেষ ম্যাচের পুরো সময় খেলেছিলেন ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে যে ম্যাচটি ১-১ গোলের ড্র করে ব্রাজিল।
রোববার রাতের ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচটিতে বাকি গোল দুইটির অ্যাসিস্টো এসেছে নেইমারের পা থেকেই। দুটি অ্যাসিস্টি তিনি করেছেন কর্নার থেকে।