টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ডাকাতদের কবলে পড়েছে শিক্ষাসফরের চারটি স্কুলবাস। ডাকাতরা বাসগুলো থেকে লুট করেছে টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। ডাকাতদের বাঁধা দিতে গেলে এক শিক্ষক আহত হন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের সাগরদীঘি ইউনিয়নের লক্ষণের বাধা এলাকায় ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে সড়কের মাঝ বরাবর গাছের গুঁড়ি দেখতে পান তারা। তখনই সবাই বুঝতে পারি ডাকাত দলের কবলে পড়েছেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে গাড়ির জানালা ও গেট বন্ধ করে দেন তারা। এরই মধ্যে ১০-১২ জনের ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গাড়িতে আঘাত করতে শুরু করে।
তিনি বলেন, ডাকাতরা পেছনের গাড়ি থেকে মালামাল লুট শুরু করলে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করি। কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। তবে ততক্ষণে তিনটি গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে মালামাল লুট করে চলে যায় ডাকাতরা। সব মিলিয়ে নগদ টাকা নিয়ে গেছে দেড় লাখ। স্বর্ণ দেড় ভরি। স্মার্টফোন ১০টি। এ ঘটনায় ডাকাতদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন ও অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার।
সাখাওয়াত হোসাইন রবিন বলেন,তিনি ছিলেন দুই নম্বর গাড়িতে। ওই গাড়িতে ছিল শুধু ছাত্রী। ডাকাতরা তার কাছ থেকে মোবাইল নেওয়ার পর যখন ছাত্রীদের দিকে যাচ্ছিল তখন তিনি বাধা দেন। এ সময় ডাকাতরা তাকে দায়ের উল্টো পিঠ দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি আহত হন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কে শিক্ষাসফরে যাওয়ার পথে গাছ ফেলে চারটি স্কুলবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যতটুকু জানতে পেরেছেন সাতটি মোবাইল ও দুই হাজার ৭০০ টাকা নিয়েছে ডাকাতরা। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।ডাকাতের কবলে পড়া শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এখন নাটোরে রয়েছেন। তারা এসে থানায় অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীদের যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। মহাসড়কে এমন ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
আই/এ