ইসরাইলি কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বন্দিদের অধিকার বিষয়ক একটি সংগঠন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ বন্দিদের মৃত্যুর তথ্য গোপন করছে।
এর আগে গাজার বন্দি বিষয়ক কমিশন জানায়, বন্দি মুসাব হানি হানিয়াহ ইসরাইলি হেফাজতে মারা গেছেন। ৩৫ বছর বয়সী হানিয়াহকে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ খান ইউনিস থেকে আটক করা হয়। পরিবারের দাবি, আটক হওয়ার আগে তিনি সুস্থ ছিলেন।
পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও গাজা দখলের পর থেকে ইসরাইলি কারাগারে অন্তত ২৯৬ ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন। বর্তমানে ইসরাইলের কারাগারে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন।
গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ১৯ জানুয়ারি। তিন ধাপের এই চুক্তিতে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘের আহ্বান সত্ত্বেও ইসরাইল তাদের আগ্রাসন চালিয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের হামলায় প্রায় ৪৮ হাজার ৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
জাতিসংঘ জানায়, ইসরাইলের বর্বর হামলায় গাজার ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে ৬০ শতাংশ অবকাঠামো। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইল ইতোমধ্যে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে।
এসি//