কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক গৃহবধূ (২১)কে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূ পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভোর রাতে পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গৃহবধূর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূর সাথে মইনুল হক (২৩) নামে এক যুবকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরে মধ্যে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চর বড়লই গ্রামের একটি ইউক্যালিপ্টাস বাগানে মইনুলের সাথে দেখা করতে যান ওই গৃহবধূ। কিন্তু মইনুল তার আরেক সহযোগী ইয়াকুব আলী (২৫) সাথে যোগসাজস করে আরও ৫ যুবককে সাথে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূ মইনুলের সাথে দেখা করতে গেলে ৭ যুবক মিলে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বুধবার ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ ভোর রাতে উপজেলার চন্দ্রখানা বালাতাড়ি গ্রামের মইনুল হক ও চর বড়লই গ্রামের ইয়াকুব আলীসহ ৫ যুবককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চন্দ্রখানা বালাতাড়ি গ্রামের হাসানুর রহমান (২০), চর বড়লই গ্রামের সোহেল রানা (২১) ও চর বড়লই হাজীটারী গ্রামের লাল মিয়া (৪০), চর বড়লই গ্রামের আতিয়ার রহমান (৩৫) ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা আল আমিন (২০)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন বলেন, গৃহবধূর স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলহ চলছে। পারিবারিকভাবে তাদের বিচ্ছেদের আলোচনা আছে। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনও খারাপ অভিযোগ নেই।
ফুলবাড়ী থানার ওসি জানান, অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি স্বিকার করেছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাসহ গ্রেপ্তার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আই/এ