ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবের বিপরীতে মিশরের দেওয়া একটি ‘বিকল্প প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। আরব নেতাদের দেওয়া ওই প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ এক বিবৃতিতে জানান, ‘বর্তমান প্রস্তাবটি গাজার বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে না। গাজা এখন বসবাসের অনুপযোগী, এবং ধ্বংসস্তূপ ও অবিস্ফোরিত অস্ত্রে আচ্ছাদিত একটি অঞ্চলে মানবিকভাবে জীবন যাপন সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড) ট্রাম্প গাজাকে হামাস মুক্ত রেখে পুনর্গঠনের পরিকল্পনায় অবিচল রয়েছেন। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে আরও আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে, অন্যদিকে, গাজার পুনর্গঠনে আরব সম্মেলনে গৃহীত মিশরের প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে ইসরাইল।
ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিসরের পরিকল্পনাকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ওপর অতিনির্ভরতা প্রকাশ পেয়েছে এবং হামাসকে পুরোপুরি অকার্যকর করার উদ্যোগ নেই।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কায়রোতে এক জরুরি আরব সম্মেলনে মিশরের পরিকল্পনাকে অনুমোদন দেওয়া হয়, যাতে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত না করেই পুনর্গঠন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
মিশরের পরিকল্পনা অনুসারে গাজা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হবে। এটি গাজাবাসীদের তাদের ভূমিতে থাকার অধিকার নিশ্চিত করবে। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূমিতে থাকবে এবং গাজার তত্ত্বাবধান করবে ফিলিস্তিনি প্রযুক্তিবিদদের একটি কমিটি।
মিশরের পরিকল্পনার আওতায়, মিশর গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পাশাপাশি দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা পুনর্গঠনের কাজ করবে। গাজার পুনর্গঠন তদারকি ও পরিচালনার জন্য মিশর একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে, যা জাতিসংঘ ও আরব লিগের সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবের বিপরীতে মিশরের দেওয়া একটি ‘বিকল্প প্রস্তাব’ গ্রহণ করে আরব দেশগুলোর নেতারা।
মঙ্গলবার(৪ মার্চ) মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত জরুরি আরব সম্মেলনে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বিকল্প প্রস্তাবটি তুললে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
এমআর//