প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার সময় ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছিলেন।
পথে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দুই দফা লাঠিপেটা করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, 'ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্লাটফর্ম সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা তা না করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওনা দেন। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশেপাশে সভা-সমাবেশের ওপর ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থামানো হয় এবং বলা হয় একটি ছোট প্রতিনিধি দল নিয়ে স্মারকলিপি দিতে। এসময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং একজন পুলিশ সদস্যের ওপর চড়াও হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।'
এর আগে সকাল থেকে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে রাজধানীর ৩০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ধর্ষণবিরোধী নানা স্লোগান দেন।
এরপর দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড় দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের সড়ক থেকে সরে যান। তারপর তারা আবার জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন।
আই/এ