আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে জিম্মি হওয়া ট্রেন

উদ্ধার অভিযান চলছে, ২০ সেনা নিহতের দাবি বিদ্রোহীদের

বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানে জিম্মি হওয়া ট্রেনটিতে থাকা সামরিক ও অসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে ৮০ জন বেসামরিক নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের প্রভাবশালী  সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়, উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ, ২৬ জন নারী ও ১১ শিশু রয়েছে।

তবে ট্রেনের যাত্রীদের জিম্মিকারী বেলুচ লিবারেশন আর্মির(বিএলএ) যোদ্ধারা সর্বশেষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রেনের জিম্মি যাত্রীদের উদ্ধার করতে যাওয়া অন্তত ২০ সেনা নিহত হয়েছে। বিএলএ’র দাবি, তাদের প্রতিরোধের মুখে স্থল সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। তবে আকাশ থেকে ড্রোন ও হেলিকপ্টার থেকে হামলা অব্যাহত আছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ওই ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেয়া বেলুচ বিদ্রোহীদের চারপাশ থেকে ঘেরাও করা হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত যাত্রীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বেলুচ লিবারেশন আর্মি জানিয়েছে, তারা নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের ছেড়ে দিয়েছে। এখন তাদের জিম্মায় সেনা, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ মোট ১৮২ জন আটক রয়েছে।

এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করার হুমকি দিয়ে বেলুচ বিদ্রোহীরা জানিয়েছে,  যদি ড্রোন/হেলিকপ্টার থেকে হামলা বন্ধ না করা হয় তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে হত্যা করা হবে।

এ ব্যাপারে জঙ্গি গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জিয়ান্দ বেলুচ হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বা পুলিশ কোনো ধরনের অভিযান চালানোর চেষ্টা করে তাহলে ১০০ জনেরও বেশি জিম্মির সবাইকে হত্যা করা হবে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার পেশোয়ারে যাওয়ার পথে  বেলুচ বিদ্রোহীদের হামলার কবলে পড়ে জাফফার এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি। ওই সময়  বেশ কিছু বেলুচ বিদ্রোহী রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। এলাকাটি দুর্গম অঞ্চলে হওয়ায় অভিযানটি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ট্রেনটির যাত্রীদের জিম্মি করা হয়েছে সেখানে একটি টানেল রয়েছে এবং এটি আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।

এর আগে, বন্দুকধারীরা ট্রেনে ওঠার আগে রেললাইনে বোমা হামলা চালায় বলে দাবি করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, জঙ্গিরা দ্রুত ট্রেনটির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং সব যাত্রীকে জিম্মি করে। সেখানে বেসামরিক লোকদের উপস্থিতির কারণে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে অভিযান চালানো হচ্ছে।

নিরাপত্তা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় জাফফার এক্সপ্রেসটি। ওই সময় বেশ কিছু জঙ্গি রেললাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও গুলি ছুড়ে ট্রেন থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ট্রেনটির ৯টি বগিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। এলাকাটি দুর্গম অঞ্চলে হওয়ায় অভিযানটি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে ট্রেনটির যাত্রীদের জিম্মি করা হয়েছে সেখানে একটি টানেল রয়েছে এবং এটি আফগান সীমান্তের কাছে অবস্থিত।  

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন #জিম্মি