বুয়েট সিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের রায় রোববার (১৬ মার্চ) ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঘোষণা করবেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় আবরার হত্যা মামলাটি রোববার রায় ঘোষণার জন্য সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।
এর আগে গেলো ২৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামান রাখেন
তার আগে ১০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর এ মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন আদালত। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ)মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রবিন (সাংগঠনিক সম্পাদক, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), মুনতাসির আল জেমি (সদস্য, এমআই বিভাগ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল), ইফতি মোশাররফ সকাল (উপ-সমাজসেবা সম্পাদক, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), মুজতবা রাফিদ (উপ-দপ্তর সম্পাদক, কেমিকৌশল), মেজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মেহেদী হাসান রাসেল (সাধারণ সম্পাদক, সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), মোজাহিদুর রহমান (সদস্য, ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (ক্রীড়া সম্পাদক, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), অনিক সরকার অপু (তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (সদস্য, এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মনিরুজ্জামান মনির (সাহিত্য সম্পাদক, ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সদস্য, সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), অমিত সাহা (আইনবিষয়ক উপসম্পাদক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), মুহতাসিম ফুয়াদ (সহ-সভাপতি, সিই বিভাগ, ১৪তম ব্যাচ) মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ), আকাশ হোসেন (সদস্য, সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ)।
এমএ//