জাতীয়

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে হঠাৎ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বায়ান্ন প্রতিবেদক

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা অর্তর্বর্তী সরকারের নেই-প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে  প্রতিবাদ জানাতেই ঢাবির শিক্ষার্থীরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে হল ছেড়ে ক্যাম্পাসে  বের হয়ে পড়েন।  

বৃহস্পতিবার(২০ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে আসা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।

সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রচার হওয়ার পরই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ-মিছিল বের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-মিছিল থেকে ‘চব্বিশের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নেই, ‘জুলাইয়ের বাংলায়’, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নেই’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘ভারতের দালালের হুশিয়ার সাবধান, ‘কিলার লীগ, ব্যান ব্যান’, ‘ইউনূস সাহেবের বক্তব্য, প্রত্যাহার করো করতে হবে’. ‘বিচার বিচার চাই, আওয়ামী লীগের বিচার চাই’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এর অগে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বৈঠকে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে দলের যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাংলাদেশের আদালতে বিচার করা হবে।’

তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য দু’টি সময়সীমা ঠিক করা হয়েছে, এই সময়সীমা পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের আগে সীমিত আকারে সংস্কার চায়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহত্তর সংস্কার প্যাকেজ চাইলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের অপরাধের বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আওয়ামী লীগ নেতাদের পাঠানোর সম্ভাবনা সরকার নাকচ করেনি। বিষয়টি আলোচনার মধ্যে আছে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লাহর গ্রেপ্তারের প্রশংসা করেন। এটিকে শরণার্থী শিবিরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির লক্ষণ বলে অভিহিত করেন।

প্রফেসর ইউনূস উল্লেখ করেন, ঢাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা সংগ্রহে কাজ করছে। তিনি আশা করেন, আসন্ন জাতিসংঘের বিশেষ সম্মেলন রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুটির প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

এমআর//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আওয়ামী লীগ