রাজধানীর গুলশানে গুলিতে নিহত সুমনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। তিনি একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এসএম নজরুল ইসলাম।
গুলশানে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে সুমনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার দাবি।
তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির বিস্তারিত পাওয়া গেছে। তার নাম টেলি সুমন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। সে-ও একটি গ্রুপের সদস্য। আন্তঃগ্রুপ কোন্দল থেকে হত্যা হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। হত্যাকারীদের শনাক্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হবে।
অন্যদিকে নিহত সুমনের পরিবার অভিযোগ করছে, ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানায়, মহাখালী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সুমন। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের হুমকির মুখে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই মো. বাদশা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মহাখালী টিবি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে একটি ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে। সুমনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল একে-৪৭ গ্রুপের রুবেল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। সে কয়েকবার হত্যার হুমকিও দিয়েছিল সুমনকে।
এদিকে, গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ জানান, সুমন পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় কয়েকজনের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পথচারীরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জেএইচ