অর্থনীতি

ঈদের আগে বাড়ল মুরগির দাম, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে রমজান শুরুর পর বেড়েছিল মুরগির দাম । পরে কিছুটা কমলেও আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে মুরগির দাম। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি জাতের মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৯০-২০০ টাকা। একইভাবে পাকিস্তানি মুরগির কেজি ৩০০-৩২০ টাকায় পৌঁছেছে। 

বিক্রেতাদের মতে, ঈদ সামনে রেখে মুরগির চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু সরবরাহ তুলনামূলক কম।

মালিবাগ হাজীপাড়ার এক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ সেই তুলনায় বাড়েনি, তাই দামও বেড়েছে।

অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, অনেকে আগেভাগে ঈদের জন্য মুরগি কিনছেন, যার ফলে চাহিদা বেড়ে গেছে। 

ব্রয়লার মুরগি ছাড়াও দাম বেড়েছে সোনালি ও লাল কক মুরগির । রামপুরার ব্যবসায়ী এনামুল বলেন, ‘‘ব্রয়লারের দাম বাড়লে অন্য জাতের মুরগির দামও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। তবে ব্রয়লারের দাম কমলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’ 

প্রাণিজ আমিষের সহজলভ্য উৎস মুরগির দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। ক্রেতাদের অনেকেই জনিয়েছেন গরু ও খাসির মাংস সাদ্ধের বাইরে, তাই মুরগিই ভরসা। ফলে, মুরগির দাম বাড়ায় তা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

এছাড়া, নতুন আসা কিছু সবজির দাম বেশি হলেও অন্যান্য সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সজিনা ১৪০-১৮০ টাকা, পটোল ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু (২০-২৫ টাকা), পেঁয়াজ (৪০-৫০ টাকা) ও টমেটোর (২০-৩০ টাকা) দাম এখন পর্যন্ত বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম। 

ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, এক ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। মুদি বাজারেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম স্থির রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মুরগি | মুরগি বাজার