বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা জোর করে,রায় দিয়ে,রাইফেল দিয়ে ইতিহাস পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন,কিন্তু পারেননি।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ছাত্ররা প্রকৃত ইতিহাস জেনে জুলাই অভ্যুত্থানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশে স্বৈরাচার আসলে টিকে থাকতে পারে না। দূরে থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করে গেছেন নেতৃত্বের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করতো। স্বাধীনতার পর থেকে এরা শুরু করেছে লুটপাট, অপকর্ম, দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল মানুষের জীবন। স্বাধীন বাংলাদেশকে অপশাসনের কবজায় নিয়ে ত্রাসের কায়েম করেছিল। জিয়ার সময় মানুষ ঘরের দরজা খুলে ঘুমাতো। এখনকার মতো বিদেশি কিছু এজেন্ট চক্রান্ত করত তো বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কিছু জিনিসের দাম কমলেও নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল, ডাল ও মুরগির দাম হু হু করে বাড়ছে। এ বিষয়ে লাগাম টেনে ধরা দরকার।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি তুলে ধরে এ বিএনপি নেতা বলেন, যুগের পর যুগ ধরে ছিনতাইকারীরা রাজত্ব করে যাবে কেন? তাহলে পুলিশ প্রশাসন আছে কেন? সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করতে না পারলে জনগণ তো মুখ ফিরিয়ে নেবে। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা চীনে যাবেন, এটা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা হয়েছে গুজবের মাধ্যমে।
রিজভী আরও বলেন, পত্রিকাতে তিনি দেখেছেন ইফতার পার্টির নাম করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গোপন বৈঠক করেছে। কী উদ্দেশ্যে, কেন করেছে? যাদের হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব, তারাই যদি গোপন বৈঠক করে, তবে এটা ভয়াবহ ব্যাপার।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ