ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল, তবে সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণে কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে যখন একটি ছোট সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যা অভিযুক্তের বাড়ির ওয়াশিং মেশিনের সামনের দৃশ্য ধারণ করেছিল। যৌন হেনস্থার সেই দৃশ্য আদালতে জমা পড়ে এবং শেষমেশ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়।এই ফুটেজটিই ছিল অভিযুক্তের অপরাধের একমাত্র প্রমাণ।
চমকপ্রদ এ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
২৪ বছর বয়সি অভিযুক্ত ওই যুবককে দক্ষিণ কোরিয়ার হাই কোর্ট সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে রয়েছে প্রেমিকাকে ধর্ষণ এবং এক নাবালিকার সঙ্গে সঙ্গমের ঘটনা। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে যুবকটি দোষী সাব্যস্ত হন, এবং আদালতে জমা পড়া সিসিটিভি ফুটেজে তার অপরাধ প্রমাণিত হয়।
তবে সাত বছরের কারাদণ্ডের পর তার শাস্তি এখানেই শেষ নয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, জেল থেকে মুক্তি পেলে অভিযুক্তকে সাত বছর পায়ে বিশেষ ফেট্টি বাঁধতে হবে। এছাড়া শিশু এবং প্রতিবন্ধী মানুষের বাসস্থান বা অন্যান্য সংবেদনশীল জায়গায় তিনি কোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন না।
সূত্র: বিবিসি
এসি//