টুকিটাকি

সন্তানের সামনেই মহিলাকে বাসে ‘গণধর্ষণ’, টাকার বিনিময়ে মিটমাটের প্রস্তাব পুলিশের!

মন্দির থেকে রাতে শেষ বাস ধরে ফিরছিলেন মহিলা। সেই বাসে দুই পুত্রের সামনেই তাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। আরও অভিযোগ, প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল স্থানীয় থানা। অভিযোগ উঠেছে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মিটমাট করে নেয়ার প্রস্তাব দেয় পুলিশ।শেষ পর্যন্ত স্থানীয় দলিত নেতার হস্তক্ষেপে মামলা রুজু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে বাসের চালক, কন্ডাক্টর, খালাসিকে। ঘটনাটি ভারতের কর্নাটকের দেবানগিরির।

জানা গেছে, ওই মহিলা হরপানাহাল্লি এলাকায় একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তার দুই সন্তান। বাড়ি ফেরার জন্য একটি বাসে ওঠেন। সেই সময় বাসে মাত্র সাত-আটজন যাত্রী ছিলেন। একসময় বাস পুরো খালি হয়ে যায়। সেই সময় নির্ধারিত রুট বদলে ফেলে বাসচালক। ছান্নাপুরার অদূরে নির্জন জায়গায় বাসটি দাঁড় করায় চালক। অভিযোগ, মহিলা এবং তার সন্তানদের বেঁধে ফেলা হয়। এরপর সন্তানদের সামনেই ওই মহিলাকে একে একে বাসচালক, কন্ডাক্টর এবং খালাসি ধর্ষণ করে।

নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করতে শুরু করেন মহিলা। আর্তনাদ কানে পৌঁছয় কৃষকদের। দৌড়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা। কৃষকরাই হাতেনাতে বাসচালক প্রকাশ মাদিভালারা, কন্ডাক্টর সুরেশ এবং খালাসি রাজাশেখরকে ধরে ফেলে। তাদের আরাশিকারে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, থানায় নির্যাতিতাকে একটি সাদা কাগজে সই করায় পুলিশ। শুধু তাই নয়, দুই হাজার হাতে দেয়া হয়। কোনও মামলা না করে ওই টাকা দিয়ে ছেঁড়া পোশাক নিয়ে নেয়ার প্রস্তাবও নাকি দেয়া হয়।

নির্যাতিতা জানিয়েছেন, পুলিশ তাকে আবার দুই পুত্রের সঙ্গে সেই মন্দিরেই ছেড়ে আসে। তারা জানায়, প্রয়োজনে ফোন করা হবে। স্থানীয় দলিত নেতারা জানতে পারেন যে, দীর্ঘ দিন ধরে মন্দিরে রয়েছেই ওই মহিলা এবং তার দুই সন্তান। এর পরে তারা বিজয়নগরের পুলিশ সুপার শ্রীহরি বাবুকে বিষয়টি জানান। এসপির সক্রিয়তায় মামলা রুজু করে আরাসিকেরে থানা। গ্রেপ্তার করে তিন জনকে।

জেএইচ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন গণধর্ষণে