আন্তর্জাতিক

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্ষমা চাইতে হবে, হুমকি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান আরও কঠোর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গেলো মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, প্রশাসন পরিচালনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন না আনলে হার্ভার্ডের কর মওকুফের সুবিধা বাতিল করা হবে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে। 

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট চান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেনো ক্ষমা চায়। ক্ষমা চাইতেই হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সরকারের নির্দেশ না মানলে হার্ভাডের কর-মুক্ত মর্যাদা বাতিল করে তাদেরকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর দিতে বাধ্য করা উচিত।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি না মানায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রাখা ২২০ কোটি ডলার ফ্রিজ করেছে মার্কিন প্রশাসন। দাবিগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পদ্ধতি, নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছিল। 

তবে হোয়াইট হাউজের এ দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় তহবিল স্থগিত করার ঘোষণা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ছয় কোটি ডলারের একটি চুক্তিও স্থগিত রাখে ট্রাম্প প্রশাসন।

হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার এক খোলা চিঠিতে বলেন, সরকারের এই দাবি ‘হার্ভার্ড সম্প্রদায়ের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা’ এবং একটি বেসরকারি জ্ঞানকেন্দ্রের ‘মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার প্রতি হুমকি’।

গারবার আরও বলেন, ‘এই ধরনের হস্তক্ষেপ নজিরবিহীন এবং ফেডারেল সরকারের এখতিয়ারের বাইরে।কোনও সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিতে পারে না তারা কী পড়াবে, কাকে ভর্তি বা নিয়োগ দেবে, এবং কী নিয়ে গবেষণা বা অনুসন্ধান চালাবে।’

হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট একটি চিঠি পাঠানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তর এক বিবৃতিতে ঘোষণা করে যে, তারা হার্ভার্ডের জন্য ২.২ বিলিয়ন ডলার অনুদান এবং ৬০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করছে।

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় | ট্রাম্প | যুক্তরাষ্ট্র