সান্তোসের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে নেইমার খেলতে নেমেছিলেন নিজের শততম ম্যাচ। বিশেষ এক জার্সি পরে নেমেছিলেন, যেখানে ‘১০০’ নম্বর লেখা ছিল। শুরুর একাদশে লম্বা সময় পর দেখা গেলেও, নেইমার মাঠ ছাড়লেন অশ্রুসিক্ত চোখে।
চোট নেইমারের পরিচিত সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত রোববারের ম্যাচটিতে সান্তোস কোচ তাকে বদলি নামান। আর স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে আতলেতিকো মিনেইরার বিপক্ষে নেইমার ছিলেন শুরুর একাদশে।
মাঠে নামলেন বটে নেইমার, তবে তাকে একেবারেই ফিট মনে হয়নি। দুই ঊরুতে মোটা টেপ পেঁচানো। তার দল অবশ্য খেলছিল দুর্দান্ত, ম্যাচের ২৪ ও ২৭তম মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সান্তোস। আর ৩৪তম মিনিটে নেইমার চোটের ব্যথা টের পেতে থাকেন। খোঁড়াতে খোঁড়াতে ডাগআউটে ইশারা করেন বদলি নামানোর জন্য।
নেইমারের শততম ম্যাচে গ্যালারিতে ছিল দর্শকে ঠাসা। সেই দর্শকদের উল্লাস থেমে যায় নিমিষেই। মাঠে বসে পড়েন নেইমার, চোখে ছিল পানি। সতীর্থরা তো বটেই, প্রতিপক্ষদের কেউ কেউ এসে সান্ত্বনা দিতে থাকেন।
নেইমার কার্টে উঠে মাঠ ছাড়েন। দর্শকরা করতালি দিয়ে তাকে উৎসাহ দিতে চেষ্টা করেন। তবে নেইমারের ভেতরটা হয়তো ভারী হয়ে ছিল। ডাগআউটে বসেও কাঁদতে থাকেন তিনি।
শেষপর্যন্ত নেইমারের জন্য বিশেষ এই ম্যাচটি সান্তোস ২-০ গোলে জিতে নিয়েছে। শুধু হতাশা ছিল এটিই যে, সান্তোসের ঘরের ছেলে দলের সঙ্গে আনন্দ-উদযাপনে নিজের সবটুকু দিতে পারলেন না।
এমএইচ//