স্থায়ী গণতন্ত্রের জন্য জাতীয় সনদ তৈরি করাই ঐকমত্য কমিশনের মূল লক্ষ্য। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র যেন হোঁচট না খায় সেই ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় কমিশন। বিএনপির পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে একমত হয়ে মতামত দেয়া হয়েছে, কিছু বিষয় দ্বিমত রয়েছে যদিও। বললেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। পাঁচটি কমিশনের সুপারিশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে স্প্রেডশিট দেয়া হয়েছিল দলগুলোকে। বিএনপিও সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি সন্তুষ্টি, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, এ দেশে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেগুলো যাতে ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সংগ্রাম করেছে। এক্ষেত্রে বিএনপি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফররাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ। আরো আছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ।
জেএইচ