সাবেক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম ও ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ এখন থেকে উত্তরার পাঁচতলা বাড়িতে বসবাস করতে পারবেন। সোমবার (০৫ মে) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছে, ফলে শামসুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে শাহনেওয়াজের বসবাসে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না। পাশাপাশি বিচারিক (নিম্ন) আদালতকে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
এর আগে, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ বাতিল করে রায় দেন, যা শামসুন্নাহার বেগম ও শাহনেওয়াজের পক্ষে যায়।
রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িটি শামসুন্নাহার বেগম ২০০২ সাল থেকে ছেলের সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। তবে ২০১৭ সালে মেয়ে তুরিন আফরোজের সঙ্গে বিরোধের কারণে মা ও ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এর পর ভোগদখল ও মালিকানা নিয়ে দুই ভাই-বোন ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দুটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথি অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে শামসুন্নাহার ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক হন এবং ১৯৯২ সালে স্বামী তসলিম উদ্দিনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন। তুরিনের দাবি, ১৯৯৪ সালে তসলিম উদ্দিন তাকে হেবা (দানপত্র) দিয়ে জমি দেন। তবে শামসুন্নাহার ও শাহনেওয়াজ আদালতে লিখিত জবাব দিয়ে জানান, তসলিম উদ্দিন কখনো তুরিনকে সম্পত্তি দেননি; বরং ১৯৯৭ সালে শামসুন্নাহার তার ছেলে শাহনেওয়াজকে হেবা করেন। পরে ১৯৯৯ সালে জমি শাহনেওয়াজের নামে নামজারি করে হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন থেকে ২৫ লাখ টাকা ঋণ নেয়া হয় এবং রাজউকের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী পাঁচতলা বাড়ি তৈরি করা হয়, যেখানে ২০০২ সাল থেকে তারা থাকছিলেন।
এসি//