বর্তমান জীবনে অনেকেই রাতে জেগে থাকেন এবং দিনে ঘুমান। একদিকে এটি অনেকের কাছে যেন স্বাভাবিক অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এর প্রভাব শরীরের ওপর পড়ে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যখন আমরা রাতে জেগে থাকি এবং দিনভর ঘুমিয়ে থাকি, তখন আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়, যা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
বর্তমানে অনেকেই রাতের বেলা ফোন, ল্যাপটপ বা টিভি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তবে এটি শুধু চোখের জন্য ক্ষতিকর নয়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। নিয়মিত স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে শরীরের ঘুমের চক্রে সমস্যা হতে পারে। তবে ভালো ঘুমের জন্য কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো শরীরকে সক্রিয় রাখতে এবং ঘুমের চক্রকে ভালো করতে সাহায্য করতে পারে।
যে খাবারগুলো খাওয়া জরুরি :
বাদাম
বাদাম খাওয়ার অভ্যাস আপনার ঘুমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭টি বাদাম খেলে, অনিদ্রার সমস্যা দূর হতে পারে এবং মনও শিথিল হয়। বাদাম খেলে শুধু মানসিক চাপ কমে না বরং, ঘুমের চক্রও উন্নত হয়।
কলা
কলা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে পাওয়া যায় ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। যদি শারীরিক বা মানসিক চাপ অনুভব করেন বা রাতে ঘুমের সমস্যা হয়, তাহলে কলা খাওয়া খুবই কার্যকরী।
দই
দইয়ের উপকারিতা অনেক বেশি। এটি শুধু অন্ত্রের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে না, ঘুমের অভাবেও সমাধান দিতে পারে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম কম চর্বিযুক্ত দই খেলে শরীরে প্রাপ্ত হয় ১৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা ঘুমের জন্য সহায়ক।
পালং শাক
পালং শাক এক ধরনের সুপারফুড যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি ম্যাগনেসিয়ামসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে, যা ঘুমের সমস্যা সমাধান করতে পারে। যদি রাতে ঘুমানোর সমস্যায় পড়েন, তবে পালং শাক খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
যদি ভালো ঘুম চান এবং দিনের বেলা সক্রিয় থাকতে চান, তাহলে এই খাবারগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে পারেন। এসব খাবার শুধু শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান রাখবে এমনটা নয় বরং, ঘুমের চক্রকেও সঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
এসকে//