একাধিক টর্নেডো ও তীব্র ঝড়ে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি, কেনটাকি ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য। এসব রাজ্যে অন্তত ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে এ টর্নেডো আঘাত হানে।
কেনটাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার জানিয়েছেন, ১৩০ মাইল বেগে টর্নেডোর আঘাতে এ রাজ্যের অন্তত ১৮ জন মারা গেছেন।
নিহতদের মধ্যে ১৭ জন লরেল কাউন্টিতে। মৃতদের বয়স ২৫ থেকে ৭৬ বছরের মধ্যে।
গভর্নর আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এমন কিছু ব্লক আছে যেখানে হয়তো সবাই মারা গেছেন।
মিসৌরিতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে পাঁচজন সেন্ট লুইসে এবং দুইজন স্কট কাউন্টিতে।
এই ঝড়কে শহরের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঝড় বলে আখ্যা দিয়েছেন শহরের মেয়র কারা স্পেন্সার। তিনি বলেন, শহরের ক্ষয়ক্ষতি হৃদয়বিদারক।
ঝড়ের কবলে পড়ে ভার্জিনিয়াতেও দু’জন প্রাণ হারিয়েছেন। প্রচণ্ড ঝড়ে গাছ গাড়ির ওপর পড়ে তাদের মৃত্যু হয়।
বিমানবন্দর ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি: কেনটাকির লন্ডন শহরের লন্ডন-কর্বিন বিমানবন্দরে ঝড়ে হ্যাঙ্গারগুলো চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে, একটি বিমান উল্টে গেছে।
শুধু তাই নয়, আশপাশের বাড়িগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
জেফ করনেট নামে এক বাসিন্দা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ঝড়ের সময় তিনি বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন, কিন্তু টর্নেডোর শক্তিতে তিনি সেখানে থেকেও ছিটকে পড়েন।
মাথায় আঘাত পেয়ে তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে হয়।
পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে তার কপালে কয়েকটি সেলাই লাগে।
এমআর//