বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের হয়রানি রোধে একটি পৃথক প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
গেলো ১৪ মে কানাডার টরন্টোর ফার্মেসি অ্যাভিনিউয়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এইচআরপিবি কানাডা শাখা আয়োজিত এক সেমিনার ও নিজের সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
কানাডা শাখা এইচআরপিবি’র আহবায়ক অ্যাডভোকেট আফিয়া বেগমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রফেসর হাওলাদার এ সামাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা আলিমুল হায়দারী।
সেমিনার ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তারা দেশে তাদের ন্যায্য সম্পত্তি ও অধিকার থেকে নানা আইনি জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এইচআরপিবি প্রেসিডেন্ট বলেন, কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে দেশে সম্পত্তি ও ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে তোলার পরও প্রবাসীদের সেই সম্পত্তি আত্মীয়-স্বজন বা প্রভাবশালীদের দ্বারা বেদখল হয়ে যায়। বেদখল হয়ে যাওয়া নিজের সম্পত্তি মামলা-মোকাদ্দমা করে তা উদ্ধারের চেষ্টা করতে গিয়ে প্রবাসীদের অনেককেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। এমতাবস্থায় তাদের দেশে ফিরে আসাটাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।
সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, প্রবাসীদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি কার্যকর ও প্রবাসীবান্ধব আইনি কাঠামো তৈরি করা জরুরি। বিশেষ করে একটি পৃথক ‘প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল’ গঠনের মাধ্যমে প্রবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে প্রবাসীদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবী বলেন, প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি আদায়ে সব মহলে জোরালো আওয়াজ তুলতে হবে। তিনি বলেন, কেবলমাত্র ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এসময় আরও বলেন, প্রবাসীরা যদি দল মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের সোচ্চার হন তাহলে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সহজ হবে। তিনি কানাডার সকল প্রবাসীদের এইচআরপিবি’র নেতৃত্ব তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কর্মী, কমিউনিটির নেতাসহ বিপুলসংখ্যক কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয় ।
এমআর//