সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় মো. শাহীন (২৬) নামের রঙ মিস্ত্রিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোতাছিম বিল্লাহ। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপ-পরিদর্শক মোতাছিম বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযুক্ত মেহেদীকে র্যাব ৪ গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে আজ দুপুরে থানায় হস্তান্তরের কথা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গেল ২৯ মে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী লেন সংলগ্ন ব্যাংক কলোনি এলাকায় শাহীনকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায় মেহেদী। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী মারিয়া আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশের পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। পরে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী থানা এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক কলোনি এলাকায় বরুনের গ্যারেজে পরিবহনে রঙ মিস্ত্রীর কাজ করতেন শাহীন। সেই গ্যারেজে প্রায়ই মাদক ও জুয়ার আসর বসতো। সে আসরে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন মেহেদী। সেখানেই শাহীনের সাথে কথা-কাটাকাটির জেরে বিরোধ হয় মেহেদীর। পরে শাহীনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি।
গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসানের ভাই জাহিদ হাসান বলেন, আমার ভাই মেহেদী হাসানকে টঙ্গীর তারগাছ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মেহেদী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কি না জানি না। তবে তাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মেহেদী বাংলাদেশ চলচিত্র সমিতির সদস্য ও সাভার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই সময় দৈনিক আল মোজাদ্দেদ প্রত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন।
মোতাছিম বিল্লাহ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষন করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, সাদা গেঞ্জি পরা এক ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে পালিয়ে যাচ্ছেন। তদন্ত করে জানা যায় সেই ব্যক্তিই মেহেদী হাসান। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী তিনি নিজেই।
এমএ//