পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁতে বুধবার (২৮ মে) ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ও চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ভোররাতে নিজের বাবা-মাকে গলা কেটে হত্যা করে এক যুবক। এরপর দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই ছুরি হাতে হামলা চালায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসায়। এই হামলায় মাদ্রাসার এক শিক্ষকসহ অন্তত চারজন গুরুতরভাবে আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম ইটিভি ভারত’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মেমারি শহরের কাশিয়ারা কাজীপাড়া এলাকায় নিজ বাসভবনে হুমায়ূন কবীর (৩৫) নামের এক যুবক নির্মমভাবে তার বাবা-মাকে খুন করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের গলা কেটে মেঝে থেকে রাস্তার দিকে টেনে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয়রা প্রথমে মর্মান্তিক দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠায়।
বাবা-মাকে খুন করে সন্ধ্যার দিকে বনগাঁ এলাকায় একটি মাদ্রাসায় প্রবেশ করে ছুরি দিয়ে চার জনকে আঘাত করেন হুমায়ুন। এসময় খবর পেয়ে মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করেন পুলিশ। আহতদের দ্রুত বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মেমারি শহরে নিজ বাড়িতে বাবা-মায়ের খুনের পর হুমায়ূন কবীর মাদ্রাসায় ঢুকে হামলা চালায়। মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচারকরা ছুরির আঘাতে আহত হয়। ঘটনার পর পালানোর চেষ্টা করলে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী ৷
এদিকে, এই ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্তের বাড়ির আশেপাশের ১০০-১৫০ জন মানুষ থানায় এসে হুমায়ূন কবীরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং ১০ জন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে।
বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হুমায়ূন কবীর বর্ধমানের মেমারি এলাকার বাসিন্দা। বুধবার সকালে তিনি তার বাবা-মাকে খুন করার পর মাদ্রাসায় হামলা করেন। এতে ৪ জন আহত হন।’
এমএ//