আগামী দুই দিনে সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এছাড়া একই সময়ে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনায় বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।
সোমবার (২ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে বন্যা সতর্কর্তা ও পূর্বাভাস কেন্দ্র।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সিলেট জেলার সুরমা, কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজার জেলার মনু নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা নদী, মনু ও খোয়াই নদের পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, এর পাশাপাশি সারি, গোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই ও সোমেশ্বরীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসময়ে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নদ-নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ভাষায় ‘ডাইক’ নামে পরিচিত বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেওয়ায় তলিয়ে গেছে জকিগঞ্জ পৌর শহর।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সীমান্তবর্তী সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় ভাষায় ‘ডাইক’ নামে পরিচিত বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় জকিগঞ্জ পৌর শহর তলিয়ে গেছে ।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে ৩ রাত জেগে পাহারা ও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তারা। ডাইক রক্ষা করতে না পারায় প্রবল স্রোতে পানি ঢুকছে জনপদে। ফলে ক্রমেই প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম।
আই/এ