জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের বন্ধ দরজায় সেবা অবশেষে পুনরায় শুরু হলো। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর বুধবার (০৪ জুন) সকালে চালু করা হয় জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম। চিকিৎসার অপেক্ষায় থাকা শতাধিক রোগীর মুখে এদিন ছিল স্বস্তির ছাপ। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একে একে প্রবেশের অনুমতি পান অপেক্ষমাণ রোগীরা। কিছুক্ষণ পরই জরুরি বিভাগে শুরু হয় চিকিৎসা প্রদান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সম্পূর্ণ পরিষেবার পরিবর্তে আপাতত শুধু জরুরি সেবা চালু রাখা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, এখনই সব বিভাগ চালু করা সম্ভব নয়। এখনও পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। ধাপে ধাপে সব কিছু স্বাভাবিক হবে।
হাসপাতালে আগত রোগীদের অনেকে আগে চিকিৎসা নিয়েছেন। আবার অনেকেই এসেছেন নতুন সমস্যা নিয়ে। কেউ এসেছেন গাইবান্ধা থেকে, কেউবা দূর ভোলা জেলা থেকে।
রফিকুল ইসলাম নামে একজন রোগী বলেন, চোখের যন্ত্রণা এত বেড়েছে যে ঈদের আগে না এসে উপায় ছিল না। আগেও এখানকার ওষুধে উপকার পেয়েছিলাম, তাই আবার আসা।
আরেকজন রোগী ইসমাইল হোসেন জানান, শনিবার (০৭ জুন) এসে দেখি বন্ধ। তারপর প্রতিদিন এসে খোঁজ নিয়েছি। আজ অবশেষে সেবা পাচ্ছি।
চোখে চেয়ে থাকা এই মানুষগুলোর জন্য গেল এক সপ্তাহ ছিল ধৈর্যের পরীক্ষা। কারণ গত সপ্তাহে একটি অপ্রীতিকর ঘটনার জেরে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। আহত রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসক কর্মীদের সংঘর্ষের সেই ঘটনার পর থেকেই বন্ধ ছিল সব কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (০৩ জুন) এ পরিস্থিতি নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয় ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি দীর্ঘ আলোচনায় বসে। প্রায় তিন ঘণ্টার সেই বৈঠকে আহত রোগীদের সাথেও আলোচনায় অংশ নেন সংশ্লিষ্টরা।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বুধবার থেকে চালু হবে সীমিত পরিসরের চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে চারটি প্রতিষ্ঠানের চক্ষু বিশেষজ্ঞদের একটি দল রোগীদের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের কাজ শুরু করবে।
এসকে//