বিশ্বজুড়ে ৮০ ও ৯০-এর দশকে জন্ম নেয়া ‘মিলেনিয়াল’ প্রজন্ম এবং এর পরের ‘জেনারেশন জেড’ তরুণরা এবার হজে অংশ নিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন—এই গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দায়িত্ব কেবল বয়স্কদের জন্য নয়। ক্রমেই বাড়ছে তরুণদের হজে অংশগ্রহণ, এবং অনেকেই একে দেখছেন জীবনের এক নতুন ও আত্মিক সূচনা হিসেবে।
৩৩ বছর বয়সী মরক্কোর মুহাম্মদ মুস্তাফা মিনায় রমী (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) শেষ করে আবেগে মাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। তিনি বলেন,‘তরুণ বয়সে হজ করা ভালো, কারণ আমরা এই কষ্ট সহজে সহ্য করতে পারি।’
রোববার (০৮ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ, যা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলমানের জন্য জীবনে একবার পালন করা ফরজ।
মক্কায় হাজিরা কাবার চারপাশে ‘তাওয়াফ’ করছেন, যা হজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
পাকিস্তানের ১৯ বছর বয়সী নবীদ সাজিদ তার মায়ের সঙ্গে হজে এসেছেন। তিনি বলেন,‘হজ একটি জীবনে একবারের সুযোগ। অনেকেই এটা অনেক বয়সে এসে করেন, তখন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে। আমি খুবই ভাগ্যবান যে এত অল্প বয়সে এই হজ পালন করতে পারছি। এতে আমি পুরো অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারছি এবং এটি আমার জীবনের এক নতুন যাত্রার শুরু।‘
হজ ইসলামি চন্দ্র ক্যালেন্ডারের দ্বাদশ বা শেষ মাসে অনুষ্ঠিত হয়, যার ফলে এটি প্রতি বছর সৌর ক্যালেন্ডারের ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে পড়ে। ঠিক যেমন রমজান সময়ের সাথে ঋতু পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যায়। আর তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এই পবিত্র ইবাদতে যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা—হজ এখন শুধু আচার নয়, হয়ে উঠছে এক ব্যক্তিগত ও আত্মিক অভিজ্ঞতার যাত্রা।