বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশের রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতা তারেক রহমান। লন্ডনে ড. ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠকের কারণে জাতীয় নির্বাচন এপ্রিলের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। এ বৈঠকের কারণে একটি দল মনোক্ষুণ্ন হয়েছে, তারা নারাজ। তারা জানে নির্বাচন হলে কোন দল সরকার গঠন করবে।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর তুরাগের রানাভোলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ফরম নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘একদিন কারাগারে দেখলাম বৃদ্ধ বয়সে কয়েদির পোশাক পরে ঝাড়ু দিচ্ছে বোরহান নামে এক বিএনপি কর্মী। তাকে দেখে আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ যা বলতো, তাই আইনে পরিণত হতো’।
তিনি বলেন, ‘উত্তরায় আমার বাসায় ডিশের লাইনের সংযোগ দিত তুষার নামে এক ব্যবসায়ী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তার ডিশের ব্যবসা কেড়ে নিয়েছে। বর্তমানে বিএনপির কর্মীরা এমন করলে আমরাও তো তাদের মতো হয়ে যাবো। তাদের মতো অন্যের ব্যবসা কেড়ে নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে আমরা সব সময় সতর্ক আছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। দেশের জন্য কাজ করি। আমাদের দল ক্ষমতায় এলে সর্বপ্রথম বেকার সমস্যার সমাধান করা হবে। এক কোটি বেকার মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তরুণ যুবকদের প্রাধান্য দিয়ে সরকার চালানো হবে’।
বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বর্তমানে যারা চাঁদাবাজি করছে তারা প্রফেশনাল চাঁদাবাজ। ওইসব চাঁদাবাজরা যেভাবেই হোক সরকারি দলে ভিড়তে চেষ্টা করে। বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না। ১৯৯১ সালে বিএনপি কয়টা সিট পাবে গ্যারান্টি ছিল না। তবে বিএনপির ভাবমূর্তি ভালো ছিল, তাই তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছিল’।
আই/এ