তেহরানের পরমাণু প্রকল্প এবং ইরান-জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আজ শুক্রবার জেনেভায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনা শুরুর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনীতিক কায়া কালাসের সঙ্গে জার্মানির স্থায়ী মিশনে একটি বৈঠক করবেন ইউরোপের ওই তিন মন্ত্রী। এরপর তাঁরা একসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জার্মানির একটি সূত্র জানায়, এ বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো ইরানকে বোঝানো, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি যেন শুধুই বেসামরিক কাজে ব্যবহৃত হয়—এ নিশ্চয়তা দেওয়া জরুরি। বৈঠকের পর বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আরও বিস্তারিত ও গঠনমূলক আলোচনা হবে বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জেনেভা বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বাহো. জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়েডফুল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কালাস অংশগ্রহণ করবেন।
গেলো ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরাইল। এরপরই পাল্টা জবাব দেয় ইরান। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলা অঅরও জোরদার হয়েছে। এমতাবস্থায় ইসরায়েলের সঙ্গে জড়িত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানাবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০১৫ সালে ইরান পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষরদাতা দেশ হলো ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন ও ইইউ। ওই চুক্তির আওতায় তেহরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করলে তাদের ওপর থেকে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন।