নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পরা শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতেই একটি ভাড়া করা গাড়িতে শরীয়তপুর থেকে চলে যান আশরাফ উদ্দিন।
ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিও প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ছবি ও ভিডিওতে থাকা নারী তার আত্মীয়। পরিবারে যাতায়াতের কারণে তাঁদের সম্পর্ক তৈরি হয়। ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিও আংশিক সত্য। ওই নারী গত বছর তার স্বামীকে তালাক দিয়েছেন।
আশরাফ উদ্দিনের দাবি, ছবি ও ভিডিওগুলো শরীয়তপুরে আসার আগের। ওই নারী তার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ডিসি হিসেবে পদায়নের পর ওই নারী আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। নানাভাবে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। বিভিন্ন সময় ঘুমের ওষুধ ও নেশাদ্রব্য খাইয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে আমার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতেন।‘
তিনি আরও জানান, ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল ছবি জনসমক্ষে প্রকাশ করার অধিকার কেউ রাখেন না। এ কারণে ওই নারীর বিরুদ্ধে আমি আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারি।’
ওই নারীর দাবি, আশরাফ উদ্দিন বিয়ের কথা বলে তার সংসার ভেঙেছেন। এখন বিয়ে না করে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ঘুমের ওষুধ খেয়ে, নেশা করে আত্মহত্যা করার ভয় দেখিয়ে তার প্রতি তাকে (নারী) দুর্বল ও আসক্ত করেন।
ওই নারীর অভিযোগ, এক বছর ধরে তাদের সম্পর্ক চলছে। বিয়ের জন্য বললে ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেবেন এমন হুমকি দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ও ওই নারীর মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টাকারী শরীয়তপুর জজ আদালতের একজন আইনজীবী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করতেন। আমি দুজনকেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম বিয়ে করার জন্য। কিন্তু ওই নারী রাজি হননি। সমঝোতার জন্য বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলেন ওই নারী। ৩০ জুনের মধ্যেওই টাকা পরিশোধের জন্য সময় দেয়া হয়েছিল । ওটা নিয়েই আলোচনা চলছিল। তার মধ্যেই এমন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এমএ//