জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশি সাংষ্কৃতিক সংগঠন দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও দেশ স্কুলের আয়োজনে এবার পার্শ্ববর্তী দেশ সুইজারল্যান্ডের রাইনফলে বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সবচাইতে সৌন্দর্যময় দেশ সুইজারল্যান্ড।
যার সৌন্দর্য ইউরোপের যে কোনো দেশকেই হার মানায়। সুইজারল্যান্ড তার পর্বতমালার জন্য পরিচিত।
তবে দেশটিতে পাহাড়, সমভূমি এবং বড় হ্রদের একটি কেন্দ্রীয় মালভূমিও রয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের অন্যতম সুন্দর একটি জায়গা হলো রাইনফলস। আর দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এবার এই জায়গাকেই বনভোজনের স্পট হিসেবে বেছে নিয়েছে।
গেলো ২১ জুন ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে সুইজারল্যান্ডের রাইনফলসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বনভোজনের গাড়িগুলো।
দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পরিবারের সদস্য এবং দেশ স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বনভোজন হয়ে ওঠে খুবই উপভোগ্য।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর ছোটদের বালিশ খেলা এবং বড়দের বালিশ খেলার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন দেশস্কুলের শিক্ষিকা এনি সেলিম, সুপ্রভা মিজান ও সুতোপা।
সংগঠনের পক্ষে পিকনিকে অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জানান মিঠু কবির, মামুন খান রেখা সেলিম ফিরোজ ও সজল।

সারাদিন রাইনফলে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা।
ফ্রাঙ্কফু্র্ট থেকে সুইজারল্যান্ডে বনভোজনে অংশগ্রহণ করতে পারায় দারুন আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
তাদের অংশগ্রহণে ফ্রাঙ্কফুর্টের এই অনুষ্ঠান পরিণত হয় এক টুকরো বাংলাদেশ।
দেশি সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐহিত্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ধরণের আয়োজনে তারা খুবই খুশি।

পরে রাত একটার দিকে আবার ফিরে ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরে আসেন তারা।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও কৃস্টি বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে দিতে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে দেশ সাংস্কৃতিক সংগঠন।
দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আয়োজন করে থাকে, যার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়।

এই বনভোজনটিও তার ব্যতিক্রম ছিল না। বনভোজনে গান, নাচ, নাটক, আবৃত্তি, খেলাধুলা, এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এমআর//