আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন শুরু, অনুপস্থিত পুতিন-শি

বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

আজ রোববার (০৬ জুলাই) থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শুরু হচ্ছে ব্রিকস জোটের দুই দিনব্যাপী শীর্ষ সম্মেলন। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর এই জোটের সম্মেলনে এবার অনুপস্থিত থাকছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। তবে সম্মেলনে মূল আলোচনার বিষয় হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বাণিজ্য নীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই পাঁচ দেশের সমন্বয়ে ব্রিকস ফোরাম গঠিত। তবে ব্রিকস জোটে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিসর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই ১১টি দেশ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।  

সম্মেলন সম্পর্কিত সূত্র জানায়, সদস্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আমদানি শুল্কের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।  তবে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিয়ে একটি সমন্বিত অবস্থানে পৌঁছানো এখনো এই জোটের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

আল জাজিরা ও এএফপির প্রতিবেদনে অনুযায়ী, এই সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর নেতারা পশ্চিমা আধিপত্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার উপায় খুঁজবেন।  সম্মেলনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে যুক্তরাষ্ট্র বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম সরাসরি উল্লেখ না হলেও এটি ওয়াশিংটনের প্রতি একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে বিবেচিত হবে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর ওপর একের পর এক শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে আসছেন। তবে সবশেষ পদক্ষেপ অনুযায়ী আগামী ৯ জুলাই থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। 

দুই দশক আগে দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম হিসেবে যাত্রা শুরু করা ব্রিকস এখন চীনের নেতৃত্বে পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে বিকল্প শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে শি জিন পিংয়ের অনুপস্থিতির কারণে এবারের সম্মেলনের রাজনৈতিক প্রভাব কিছুটা কমে যেতে পারে। তিনি গেল ১২ বছরে চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না। তার পরিবর্তে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। একইভাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও সশরীরে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে তিনি ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।

এছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকবেন। ইসরাইলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি থেকে ইরান এখনও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

এসকে//