শীতকালে বা অস্থির আবহাওয়ায় অনেকের জন্য বিরক্তিকর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় চোড়া সর্দি। এটি সাধারণত নাক দিয়ে জলীয় বা ঘন স্রাব বের হওয়া এবং নাক বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। চিকিৎসাবিদরা এটিকে নাক ও গলার মিউকাস উৎপাদনের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফল হিসেবে দেখেন।
চোড়া সর্দির প্রধান কারণ হলো ভাইরাস সংক্রমণ। বিশেষ করে রাইনোভাইরাস যা সাধারণ ঠাণ্ডা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া করোনাভাইরাস, অ্যাডেনোভাইরাস, RSVও দায়ী হতে পারে। ভাইরাসগুলো নাকের ঝিল্লিকে উত্তেজিত করে স্রাব বৃদ্ধির কারণ হয়।
সব চোড়া সর্দি ভাইরাসজনিত নয়। অনেক সময় অ্যালার্জি বা ধূলা, পরাগকণিকা, পশুর লোম থেকেও নাক দিয়ে স্রাব বের হতে পারে। যারা অ্যালার্জির প্রতি সংবেদনশীল, তাদের ক্ষেত্রে সর্দি তীব্র হতে পারে। এছাড়া শুষ্ক বা ঠাণ্ডা বাতাস, ধোঁয়া, দূষণ পরিবেশগত কারণে নাকের মিউকাসও বৃদ্ধি পেতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী চোড়া সর্দি বা পুসসহ স্রাব থাকলে এটি হতে পারে ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস যা প্রমাণিত হলে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
লক্ষণসমূহ :
• নাক দিয়ে জলীয় বা ঘন স্রাব (সাদা, হলুদ বা সবুজ)
• নাক বন্ধ থাকা
• হাঁচি ও কাশি
• গলাব্যথা ও হালকা জ্বর
• মাথাব্যথা
• অ্যালার্জি থাকলে চোখ লাল বা চুলকানো
প্রতিকার ও চিকিৎসা :
• ঘরোয়া উপায়: গরম পানির ভাপ, লবণজল দিয়ে নাক ধোয়া, প্রচুর পানি, বিশ্রাম ও পুষ্টিকর খাবার
• ডাক্তারি ওষুধ: ডিকনজেস্ট্যান্ট (নাক বন্ধ কমাতে), অ্যান্টিহিস্টামিন (অ্যালার্জির জন্য), অ্যান্টিবায়োটিক (ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে)
প্রতিরোধ :
• নিয়মিত হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত রাখা
• ঠাণ্ডা, ধুলোবালি ও দূষণ এড়িয়ে চলা
• অ্যালার্জি থাকলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
সতর্কতা :
• সর্দি ১০–১৪ দিনের বেশি স্থায়ী হলে
• জ্বর, চোখ লাল হওয়া, শক্ত মাথাব্যথা বা গলাব্যথা থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ জরুরি
এসকে//