নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ও দেশের অন্যান্য অংশ থেকে কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কয়েকদিনের সহিংস বিক্ষোভ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।
গতকাল শুক্রবার রাতে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেলের বাসভবন শীতল নিবাসে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি। শপথ নেওয়ার পরপরই তিনি নেপালের পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং ২০২৬ সালের ৫ মার্চ জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পর আজ শনিবার কারফিউ তুলে নেওয়া হয়।
কারফিউ প্রত্যাহারের পর দেশটির দোকানপাট, বাজার ও শপিং মল খুলেছে। রাস্তায় ফিরেছে যানজট, দূরপাল্লার গাড়িও চলছে স্বাভাবিকভাবে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখন আর চলাফেরায় কোনো বিধিনিষেধ নেই। কয়েকদিনের অস্থিরতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে নেপালের জনজীবন।
এর আগে নিবন্ধনহীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতির অবসান দাবিতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে দেশজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বহু হতাহত হলে বিক্ষোভ আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি ও তার মন্ত্রীরা আত্মগোপনে চলে যান।
গণ-আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ জনে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক হাজার মানুষ। নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য, বিক্ষোভকারী, সাধারণ মানুষ এবং বন্দি রয়েছেন।
এদিকে সহিংসতার সুযোগে নেপালের বিভিন্ন কারাগার থেকে সাড়ে ১৩ হাজার বন্দি পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে এক হাজারকে ফের গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা এখনও পলাতক। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের অগ্নিসংযোগে বহু সরকারি ভবন ও স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
সূত্র: দ্য হিমালয়ান টাইমস
এমএ//