বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, জনগণের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করাই এখন তার একমাত্র লক্ষ্য। রাখে আল্লাহ, মারে কে? শেখ হাসিনা আমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন মানুষের পাশে থাকার জন্য।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পর জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, ‘এই দেশের অত্যাচারকারী, নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ ও সম্পদ লুটকারীরা চেয়েছিল টুকু যেন আর বেঁচে না থাকে। অনেক সময় ভেবেছি, বন্ধু সাদেক হোসেন খোকার মতো হয়তো আমাকেও বাক্সবন্দি হয়ে ফিরতে হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে ফিরিয়ে এনেছেন মানুষের সেবা করার জন্য’।
তিনি বলেন, আপনাদের অধিকার রক্ষার জন্য এবং দেশবাসীর সেবা করার উদ্দেশ্যে বিএনপি আমাকে আবারও ধানের শীষের প্রতীক দিয়েছে। তিনি জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত জনগণের সেবা করতে চান।
অতীতের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নির্যাতন আর একদলীয় শাসনের পর শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে দেশজুড়ে নেমে আসে চরম হতাশা। সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা, জিয়াউর রহমান বন্দি—১৫ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়টা ছিল জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়। পরে সিপাহী-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে রাষ্ট্রের নেতৃত্বে বসায়। তখনই মানুষ আবার আশার আলো দেখতে শুরু করে। আজও দেশের মানুষ বিএনপিতে সেই আশার জায়গা খুঁজছে।
জামায়াতে ইসলামীর আচরণ নিয়ে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা তালিমের নামে মানুষকে ভুল পথে নিচ্ছো, এটা মুনাফেকি ছাড়া কিছু নয়। ইসলাম কায়েমের জন্য তোমাদের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশের মানুষ নিজেই ধর্মপ্রাণ—নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতে বিশ্বাসী। আমাদের নতুন করে ধর্ম শেখানোর দরকার নেই’।
তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই তোমরা রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছো। আজ সেই দলের প্রতিই তোমরা রক্তচক্ষু দেখাচ্ছো—এটা কেউ মেনে নেবে না’।
শ্রমিকদের উদ্দেশে টুকু বলেন, 'আমি সব সময় শ্রমজীবী মানুষের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। যদি জনগণ আমাকে নির্বাচিত করে, শ্রমিকদের কল্যাণে যা যা করা দরকার, সব করব'।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম খান, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসাইন সবুজ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
আই/এ