নতুন মোড় নিয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। প্রাণঘাতি এই ভাইরাস থেকে সেরে উঠার পর কেউ কেউ আক্রান্ত হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে। এ নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে বড় ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ভারতের মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা ও গুজরাট অঙ্গরাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনায় সেরে ওঠা রোগীরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায় হিসেবে ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত কি না বুঝার উপায়-
প্রাথমিক উপসর্গ
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রাথমিক উপসর্গ হলো জ্বর এবং চোখ ও নাকে ভীষণ যন্ত্রণা, মাথা ব্যথা, রক্তবমি, কফ, শ্বাসকষ্ট ও অবসাদগ্রস্ততা। কারও এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা না নিলে রোগটি জটিল রূপ নিতে থাকে বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। তবে এটি সংক্রামক রোগ নয়।
নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের অন্যতম উপসর্গ হলো নাক বন্ধ থাকা বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া। চিকিৎসকরা বলছে, ভারতে আক্রান্ত বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই এই উপসর্গ দেখা গেছে। তাই একটানা কারও নাক বন্ধ থাকলে বা নাক দিয়ে রক্ত পড়লে হাসপাতালে নেওয়া জরুরি।
মুখে ব্যথা
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আরেকটি উপসর্গ হলো মুখে ব্যথা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, মুখে ব্যথার সঙ্গে জ্বর থাকলে এটি জটিল রূপ ধারণ করতে পারে। তবে মুখে হালকা ব্যথা হলেই যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হয়েছে তা ধরে নেওয়া যাবে না।
দাঁতে ক্ষয় হওয়া
দাঁতে ক্ষয় হওয়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আরেকটি লক্ষণ। এর ফলে রোগী মুখে ব্যথা অনুভব করে। দাঁতে ক্ষয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের একটি উপসর্গ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
শরীরের রং বদলে যাওয়া
শরীরের রং বদলে যাওয়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আরেকটি উপসর্গ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছে, কারও শরীরের রং বদলে যাওয়া মানেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নয়। কারণ চামড়ার বিভিন্ন রোগের কারণেও শরীরের রং বদলে যেতে পারে। তবে রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে।
বুকে ব্যথা
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের আরেকটি উপসর্গ বুকে ব্যথা। আক্রান্ত রোগী বুকে ভীষণ যন্ত্রণা অনুভব করে। চিকিৎসকরা বলেছে, কেউ বুকে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
এসএন
