গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় তালাক দেওয়ায় স্ত্রী আরজিনা আক্তারকে (৩৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রতন আলী (৩৩) বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম।
নিহত আরজিনা কালিয়াকৈর উপজেলার কলাবাধা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গ্রেপ্তার রতন আলী নওগাঁ সদর উপজেলার মুকরামপুর এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে।
এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, প্রায় ৪ মাস আগে রতন ভালোবেসে আরজিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পরে আরজিনা জানতে পারেন যে, তার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় মেয়ের পরকীয়া সম্পর্ক আছে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলতো এবং প্রায়ই মনোমালিন্য ও ঝগড়া বিবাদ হতো। পরকীয়ার জের ধরে আরজিনা আক্তার বুধবার সকালে আলিপুর উপজেলার মৌচাক বাজারে কাজী অফিসে গিয়ে স্বামী রতন আলীকে তালাক দেন। ওই সময় তিনি রতনকে মুঠোফোনে তালাক দেওয়ার বিষয়টি জানান। তালাক দেওয়ায় রতন ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে মৌচাক বাজারে আসেন।
এসআই সাইফুল ইসলাম আরও জানান, এসময় আরজিনা বাসায় ফিরছিলেন। পথে মৌচাক সুফিয়া হাসপাতালের সামনে রতন আরজিনার গতিরোধ করেন। এরপর প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে পেটের মধ্যে তিনটি আঘাত করেন। এতে আরজিনা মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে আশপাশের লোকজন রতনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এবং আহত আরজিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইদিন পর শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার রতন আলী বৃহস্পতিবার গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শেখ সোহান
