বরিশাল বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ইতোমধ্যে বরিশাল জেলার নিম্নাঞ্চলের ১২ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। এছাড়া প্রায় আট হাজারেরও বেশি গবাদিপশুকে ওইসব আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জেলার সবগুলো উপজেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে একাধিক নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে। যেন আপদকালে ওইসব নম্বরে কল করে সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় প্রাথমিকভাবে দুটি করে মেডিকেল টিম কাজ করছে। যেখানে বেশি আক্রান্ত হবে সেখানে ৪/৫টি টিম কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, নগদ অর্থ ও শুকনো খাবারের হিসেব করার সময় এখন নয়। নির্দেশনা দেয়া আছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যা দরকার তা উপজেলা থেকে খরচ করা হবে।
অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের সবগুলো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান প্রকৌশলী মো. মাসুম। এতে করে উপকূলসহ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার রায় জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে মাত্র ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ অনুসারে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া, ভোলার চরফ্যাশন এবং বরিশাল জেলা অভিমুখে। শেষ রাতের দিকে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালে ২৪ ঘণ্টায় ২৬০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।