ধর্ষণের পর ফের গণধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের এক নির্যাতিতা নাবালিকা। ওই নির্যাতিতা নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে দুই জন মিলে। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, কাজের লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে ভারতের দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি লজে নিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। তারপর সেখানেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দুজন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২৮ বছরের ট্যাক্সিচালক অভিমন্যু হংসরাজ সরোজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, হংসরাজ সরোজ ও তার সঙ্গী মিথ্য়ে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই নাবালিকাকে দক্ষিণ মুম্বাইতে নিয়ে যায়। তারপর সেখানে একটি ফাঁকা লজে ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। ওই নাবালিকা এর আগেও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। জুলাই মাসে সে একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল। তখন ডোংরির চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি তাকে মাতুঙ্গার চিল্ড্রেন হোমে রাখার নির্দেশ দেয়। সেখানে থাকার সময়ই সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতাল থেকে সে পালিয়ে যায়।
হাসপাতাল থেকে পালিয়ে বান্দ্রা ও কুরলা ঘুরে পরদিন সকালে সে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসে পৌঁছয়। সেখানেই তার সঙ্গে আলাপ হয় পেশায় ট্যাক্সিচালক অভিমন্যু হংসরাজ সরোজ ও তার সঙ্গীর সঙ্গে। ওই নাবালিকা কাজ খুঁজছে, তার কাজের দরকার রয়েছে, একথা বুঝতে পেরেই তাকে ফাঁদে ফেলে দুজন। তারপরই ওই নাবালিকাকে নিয়ে গিয়ে তোলে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি লজে। সেখানে দুজন মিলে ধর্ষণ করে তাকে। গণধর্ষণের পর অভিযুক্তরা নির্যাতিতা ওই নাবালিকাকে আবার ওই ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসেই ফেলে দিয়ে চম্পট দেয়। সেখান থেকে সে ফের চিল্ড্রেন হোমে ফেরত যায়। তারপর হোম কর্তৃপক্ষকে গোটা ঘটনার কথা খুলে বলে।