আর্কাইভ থেকে জাতীয়

খেতে খেতে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে টানেলের প্রস্তাবটা দেই: প্রধানমন্ত্রী

খেতে খেতে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে টানেলের প্রস্তাবটা দেই: প্রধানমন্ত্রী
চীন সফরে আমি খেতে খেতে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রস্তাবটা ফের দেই। তিনি খাওয়ার টেবিলেই রাজি হয়ে যান। আমাদের টিমের সদস্যরা খাবার না খেয়েই বের হয়ে গিয়ে (প্রস্তাব) রেডি করে। পরে এটির চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ পূর্তকাজ সমাপনী উদযাপনের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা টিউবের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেই টানেল উদ্বোধনটা এই মূহুর্তে করতে পারছি না। দ্বিতীয় টিউবের কাজ কিছু বাকি। যেহেতু একটা টিউবের কাজ শেষ হয়েছে, কাজেই দেখতে চেয়েছি কেমন হলো। কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই প্রথম নদীর তলদেশ থেকে এমন টানেল। শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী। এর সার্বিক উন্নয়নে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ৭৫-এর পর ক্ষমতাসীনরা চট্টগ্রাম নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ঢাকায় নিয়ে আসে। চট্টগ্রাম প্রায় অবহেলিত অবস্থায় ছিলো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই চট্টগ্রামকে নতুনভাবে গড়ে তোলে। নগরীর গুরুত্ব বৃদ্ধি করে। এই কর্ণফুলী নদীর এপার ওপারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেখানে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আবার ওপারে আনোয়ারা একটা ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল বেল্ট আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় চট্টগ্রামের দুটি দিকই সমানভাবে উন্নত হবে। নদীর অপর পাশকে বলা হয়েছে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে বছর বাবা (বঙ্গবন্ধু) জেলের বাইরে থাকতেন, সে বছর বাবা আমাদের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার বড়োতে নিয়ে যেতেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা কেন বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারেনি? তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতে পারেনি। তারা মানুষের ভাগ্য বদলাতে চায়নি। নিজেরা ভোগ বিলাসে ব্যস্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে পায় না, তারা যেন চোখের ডাক্তার দেখায়। আমরা অনেক ভালো ভালো আই ইন্সটিটিউট করে দিয়েছি। আমি বলব তাদেরকে সেখানে চোখের ডাক্তার দেখাতে। সরকারপ্রধান বলেন, আমি মনে করি আমাদের বিরোধীরা চোখ থাকতে অন্ধ। তারা অস্ত্র চোরাচালান, অর্থ চোরাচালান এগুলো করতে পারবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি, ভবিষ্যতে করতে পারবে না। এটা হলো বাস্তবতা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন খেতে | খেতে | চীনের | প্রধানমন্ত্রীকে | টানেলের | প্রস্তাবটা | দেই | প্রধানমন্ত্রী