নানা কারণে আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। লেখা-লেখির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েও আলোচনায় থাকেন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকাইয়া সিনেমার অভিনেত্রী পরিমণির বিবাহ বিচ্ছেদ ও স্বামী রাজের সঙ্গে বনিবনা নিয়ে কয়েকটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে তসলিমা নিজের জীবনের সঙ্গে পরিমণির জীবনের মিল পেয়েছেন। পরীকে নিয়ে কোনও কোনও মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধেরা হলো-
মিডিয়ার চরিত্র নিয়ে একটা বই লেখা যায়। সত্যিই, যায়।
আমার জীবনের সঙ্গে নায়িকা পরীমণির জীবনের মিল আছে বলাতে ভীষণ এক বিদ্রূপের শিকার হচ্ছি। জীবনের মিল আছে, উল্লেখ করে আমি যা বলেছি তা হলো, পরীমণি আমার মতোই সৎ, সরল, এবং সংবেদনশীল, আমরা মানুষকে বিশ্বাস করি, ঠকি, আবার বিশ্বাস করি। কিন্তু মিডিয়া কী হেডলাইন করলো? করলো, পরীমণির পঞ্চম বারের মতো বিবাহ ভেঙেছে, পরীমণির সঙ্গে সে জন্যই নাকি নিজের জীবনের মিল খুঁজে পেয়েছি আমি। সততা, সরলতা, সংবেদনশীলতা, এক্সপ্লয়েটেড হওয়া, আঘাত পাওয়া ---এসবের ধারে কাছে না গিয়ে একাধিক বিয়ে নিয়ে কুৎসিত কটাক্ষ করাই মিডিয়ার উদ্দেশ্য।
কিছুদিন আগে অভিষেক ভালো, কিন্তু অমিতাভ বচ্চনের মতো অতটা প্রতিভাবান নন তিনি, এটি বলার পর অভিষেক আমার বক্তব্য স্বীকার করে নিলেন, কিন্তু এই নিয়ে মিডিয়া উন্মাদ হয়ে গেল। লিখে দিল আমি নাকি বচ্চন পরিবারের দিকে তির ছুঁড়েছি, আমি নাকি অমিতাভ এবং অভিষেকের বিরুদ্ধে বিরাট ষড়যন্ত্র করেছি, অভিষেক নাকি মোক্ষম উত্তর দিয়েছে, আমাকে নাকি ধরাশায়ী করেছে। মিডিয়ার মত হলো আমি অভিষেকের চেয়ে অমিতাভকে প্রতিভাবান বলে খুব ভুল করেছি, খুব অন্যায় করেছি,মস্ত বড় অপরাধ করেছি। তাহলে মিডিয়া কি বিশ্বাস করে অমিতাভের চেয়ে বেশি প্রতিভাবান অভিষেক? আমি কোথায় ভুল করেছি তা না দেখিয়ে দিয়ে কেবল ভুল ভুল বলে চিৎকার করার উদ্দেশ্য তো তাহলে ঢোল বাজিয়ে লোক জড়ো করা !
মিডিয়ার চরিত্র হাতে গোণা কিছু লোক জানে, কিন্তু অধিকাংশ যারা জানে না, তারা তো রীতিমত তাদের এ টু জেড বিশ্বাস করে বসে থাকে।