আফগানিস্তানে বর্তমান শাসক তালেবান ডাকাতি ও সমকামিতার অভিযোগে ৯ জনকে বিভিন্ন অপরাধে চাবুক মারা ও প্রকাশ্যে ৪ জনের হাত কর্তন করেছেন। জানিয়েছেন সাবেক এক আফগান মন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির কান্দাহারের আহমেদ শাহী স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এবং কান্দাহারের সাধারণ মানুষ ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। কান্দাহারের গভর্নর হাজি জাইদ বলেন, ‘অভিযুক্তদের ৩৫-৩৯ বার চাবুক মারা হয়েছে।’
এরমধ্যে সাবেক আফগান মন্ত্রী শবনম নাসিমী জানান, কান্দাহারের ফুটবল স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে চারজনের হাতও কর্তন করেছে তালেবান।
টুইটে শবনম লিখেছেন, ‘কান্দাহারে সবার সামনে চার ব্যক্তির হাত কর্তন করা হয়েছে। তারা চুরির দায়ে অভিযুক্ত। আফগানিস্তানে অঙ্গচ্ছেদ, হত্যা ও চাবুক মারা হচ্ছে, কোনো ন্যায্য বিচার ছাড়াই। এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
এদিকে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা দখল করে তালেবান। গত বছরের শেষ দিকে আফগানিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় শরিয়া আইন ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেয় তারা। এরপর প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, বেত্রাঘাত এবং অঙ্গচ্ছেদ করেছে সশস্ত্র এ গোষ্ঠী।
এদিকে জাতিসংঘ এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে, সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে প্রকাশ্যে চাবুক মেরে শাস্তি দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে নারী ও পুরুষ উভয়ই রয়েছেন।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ফারাহ শহরে প্রথম প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে তালেবান। যদিও তারা জানিয়েছিল, তারা কোনো ধরনের কঠোর নীতি অবলম্বন করবে না।