মেলা বসেছে নক্ষত্রদের, তবে আকাশে নয় তপ্ত মরুর বুকে রিয়াদের কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে। প্রায় ২৫ মাস পর মুখোমুখি হয়েছে সময়ের সেরা দুই তারকা। তবে একদিকে সেনাপতি রোনালদো একা হলেও যুদ্ধক্ষেত্রের অপর প্রান্তে বিশ্বজয়ী মেসির সাথে আছেন সেলেসাওদের শাহজাদা নেইমার জুনিয়র এবং বাস্তিল দুর্গের সাহসী তরুন তুর্কি কিলিয়ান এমবাপ্পে!
দুই মহাতারকার সাথে এতো তারকাদের ভিড় এশিয়ার মাঠে। তাই তো হঠাৎ মাঠে উপস্থিত বিগ বি!
মাঠে লড়াইটাও ছিল দেখার মতোই! খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই মেসির পা থেকে বল কেড়ে নিলেন সিআরসেভেন। তা দেখে যেন মেনে নিতে পারলো না এনজেআরটেন। বল বাড়ালেন বন্ধু মেসির দিকে। বল পেয়েই গোল করে মেসি তার পা থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়া অপমানের যেন জবাব দিলেন। এ দৃশ্য দেখে কি রোনালদো বসে থাকতে পারে। ৩৪ মিনিটের মাথায় সাবেক সতীর্থ কেইলোর নাভাস ফাউল করে বসে পর্তুগীজ তারকাকে।
পেনাল্টি পেয়ে দারুন গোল করে দল সমতায়। ৩৯ মিনিটের মাথায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বার্নাট। ফলে ১০ জন নিয়ে লড়াই শুরু করতে হয় মারকিউনোসকে। চার মিনিট পর অধিনায়ক মারকিউনোস গোল করে আবারও এগিয়ে নেন দলকে। কিছুক্ষণ পর ডি-বক্সের ভিতরে ফাউলের শিকার নেইমার। পেয়ে গেলেন পেনাল্টি। কিন্তু নেইমার জুনিয়র কি বিশ্বকাপের কালো অধ্যায় এখনো শেষ করে উঠতে পারে নি! যেই নেইমার সব থেকে সুন্দর ভাবে পেনাল্টি কিক নেন তিনি মিস করে বসলেন।
এদিকে ৩৭ বছরের যুবক রোনালদকে দমিয়ে রাখতে পারছে না পিএসজির রক্ষণ ভাগ। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে দলকে নিলেন সমতায়। ২-২ সমতায় থেকে শেষ হলো প্রথমার্ধ।
প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে নেমে দুই দলে চলতে থাকে গোল উৎসব। ৫৩ মিনিটের মাথায় এম্বাপ্পের বাড়ানো ক্রসে গোল করলেন সাবেক মাদ্রিদ তারকা রামোস। ঠিক তার তিন মিনিট পর আবার গোল করে জ্যাংহিউনসু দলকে সমতায় আনেন। ৬০তম মিনিটে পিএসজি আবারও পেনাল্টি পেলে দলকে এগিয়ে নেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এরপর রিয়াদ অল স্টার একাদশ থেকে তুলে নেয়া হয় রোনালদোকে। রোনালদো মাঠে না থাকলে বাকি তারকারাও তো আজ বেমানান দেখাবে। ওই সময়েই মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয় মেসি নেইমার এম্বাপ্পে রামোসদের।
শেষ পর্যন্ত খেলার ফলাফলে ৪-৫ গোলে জয় পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু আজ খেলার ফলাফলে কি আসে যায়। এক সাথে মাঠে নেমেছে নেইমার এমবাপ্পে মেসি রোনালদো রামোস। এর থেকে মধুর দৃশ্য আর কি বা হতে পারে। হয়তো এটাই শেষবার, এমন দৃশ্য কি আর কখনোই দেখবে ফুটবল বিশ্ব!