আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি নারীদের, নেপথ্যে আছে যে ৩ কারণ

হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি নারীদের, নেপথ্যে আছে যে ৩ কারণ
সময় যত গড়াচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। মানসিক চাপ, কাজের ব্যস্ততা, কর্মক্ষেত্রে উদ্বেগ— আসলে এই দৈনন্দিন যাপনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে হৃদরোগের কারণ।  
হার্ট অ্যাটাক
হার্ট অ্যাটাক
সম্প্রতি কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। ‘সেন্টার্স অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ অনুসারে, আমেরিকায় প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে একজন হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। বেশির ভাগ মানুষের ধারণা, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বোধহয় পুরুষদেরই বেশি থাকে। এ ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। পুরুষ এবং মহিলা— উভয়েরই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। সমীক্ষা বলছে, মহিলা এবং পুরুষের ক্ষেত্রে হৃদ্‌রোগের উপসর্গগুলি আলাদা। নারীর ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, কাঁধ ও ঘাড়ে ব্যথার মতো উপসর্গগুলি প্রকট হয়। যে তিন কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে মহিলাদের-
ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশন
মানসিক চাপের কারণেও মহিলাদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। শরীরকে সুস্থ রাখতে দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। কর্মব্যস্ততা এবং অবসাদের কারণে অনেক মহিলারাই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এতেও কিন্তু ঝুঁকি বাড়ে। ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এই সব রোগের কারণে রক্তনালিকাগুলি সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি হয়। ফলস্বরূপ হৃদযন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
প্রেগন্যান্ট
প্রেগন্যান্ট
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক মহিলাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। এ সময়ে রক্তচাপ বেড়ে গেলে রক্তনালিকাগুলি দিয়ে রক্ত ও অক্সিজেন পর্যাপ্ত মাত্রায় মস্তিষ্কে পৌঁছতে পারে না। এ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যায়। সুত্র: হেলথ লাইন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন হৃদরোগের | ঝুঁকি | বেশি | নারীদের | নেপথ্যে | আছে | ৩ | কারণ