পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জয় পেয়েছেন নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। গেলো মে মাসে ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্ট সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পুর্নবহালের কিছুদিনের মধ্যেই রোববার এ ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, এর আগে চারবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ৭৫ বছর বয়সী দেউবা। ১৬৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। আস্থা ভোটে জয়ের জন্য তার প্রয়োজন ছিলো ১৩৬ ভোট। তার বিপক্ষে ভোট পড়ে ৮৩টি।
আস্থা ভোটে জয়লাভের পর করোনা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়েছেন দেউবা। তিনি বলেন, নতুন সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হবে করোনার সঙ্গে লড়াই। আগামী তিন মাসের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গেল সোমবার সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে ক্ষমতায় থাকা কে পি শর্মা অলির স্থলে দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। ক্ষমতা হারানোর পর অলি বলেছেন, অন্যায্যভাবে তাকে অপসারণ করেছে আদালত।
নেপালের সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহীদের দল ও নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের সমভূমি এলাকাগুলোর মধ্যে প্রভাবশালী একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী দলের সমন্বয়ে গঠিত জোটের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেস পার্টির প্রধান দেউবা।
নেপালের সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি শুরু থেকেই চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। তার আমলে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। সীমান্ত নিয়ে দেশটির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন ওলি। একের পর এক ভিত্তিহীন মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্তও করে তোলেন। সম্পর্কে চিড় ধরে এককালের বন্ধু পুষ্পকমল দাহালের সঙ্গেও। এর ফলে দুই ভাগ হয়ে যায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ঘনিষ্ঠ। ফলে মসনদে শেরবাহাদুর দেউবা বসায় আপাতত অনেকটাই স্বস্তি পাবে ভারত।
এসএন