আবারো অস্থিরতা আল-আকসা মসজিদে! গতকাল রোববার নামাজরত ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের টেনে-হিঁচড়ে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। শুধু তাই নয়, নারীদের বেধড়ক পেটানোও হয়েছে। নীতিমালা ভঙ্গের অজুহাতে আটক করা হয়েছে আরো অনেককে। ফিলিস্তিনিদের উপর এমন উসকানিমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আল-আকসা কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নামাজ আদায়ের জন্যে আল-আকসায় গিয়েছিলেন ফিলিস্তিনি নারীদের একটি দল। কিন্তু আল-আকসার দরজাই পেরোতেই পারেনি তারা। তার আগেই ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে নারীরা।
এদিন পর্দানশীল মুসলিম নারীদের হয়রানির পাশাপাশি মাটিতে ফেলে মারধরও করেছে ইহুদি সেনারা। মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে তাদের রীতিমতো গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। প্রতিবাদে ইট-পাটকেল ছুঁড়লে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এসএন
আল-আকসা মসজিদের পরিচালক শেখ ওমর আল কিসওয়ানি বলেন, এটা নিঃসন্দেহে উসকানিমূলক আচরণ। নামাজরত ফিলিস্তিনিদের রীতিমতো টেনে-হিঁচড়ে আল-আকসা থেকে বের করে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নামাজ পড়তে আসা নারীদের অপমান ও হয়রানি করেছে তারা। ওই সময়ই মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ১৩শ’র বেশি কট্টরপন্থী ইহুদি। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কোন্দল বাঁধাতেই এ অপচেষ্টা করা হয়।
অবশ্য আগ্রাসনের ব্যাপারে উল্টো সুর ইসরায়েলি বাহিনীর। তাদের দাবি, ইহুদিদের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা তিশা-ভি-হাবে নাক গলাচ্ছিলো ফিলিস্তিনিরা। ওই সময় নাকি ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং প্রার্থনায় বাধা দেয় তারা।
গেল মে’তে জেরুজালেম এবং আল-আকসা এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাতকে ঘিরে অস্থিরতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে ১১ দিনের সংঘাত বাধে। ওই সহিংসতায় নিহত হয় ২৫৬ জন ফিলিস্তিনি। মিসরের মধ্যস্থতায় অস্ত্র বিরতি কার্যকর হলেও নানা অজুহাতে বারবার তা লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল।
