এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ে। এক দিনে নয়, টানা ৯ দিন ধরে মায়ের দেহ টুকরো টুকরো করে কাটেন মেয়ে। জানিয়েছে পুলিশ। মুম্বইয়ের লালবাগ এলাকার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে কিছু দিন আগে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৫৫ বছর বয়সি মা বীণা জৈনের টুকরো টুকরো দেহ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ে রিম্পলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, তদন্ত যতো এগোচ্ছে, ততোই নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন তারা। পুলিশ জানতে পেরেছে, দেহ কাটার জন্য দোকান থেকে একাধিক যন্ত্র কিনেছিলেন অভিযুক্ত মেয়ে রিম্পল। মায়ের হাত এবং পায়ের টুকরো টুকরো অংশ জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন রিম্পল। দেহের বাকি অংশ রেখেছিলেন আলমারিতে।
কেন মাকে খুন করলেন রিম্পল?
এখনও সেই উদ্দেশ্য স্পষ্ট করেননি ২৩ বছরের তরুণী। তার প্রেমিক শ্রীনিবাস মল্লিককেও এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ ছাড়া, তদন্তের অগ্রগতিতে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছে এক ফাস্টফুড বিক্রেতার নামও। অভিযোগ, রিম্পলের সঙ্গে ফোন এবং মেসেজের মাধ্যমে তার যোগাযোগ ছিল। আমজাদ আলি নামের সেই ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রিম্পলের বাড়ি থেকে দু’টুকরো কাপড়, একটি পুরনো শাল, জিন্স, বৈদ্যুতিক যন্ত্র, পাঁচ বোতল সুগন্ধী, পাঁচ বোতল মৌরি, একটি ছুরি, সোনার চেন ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা সব উপাদানই খতিয়ে দেখছেন। কেন মাকে খুন করে দেহ এ ভাবে কাটলেন রিম্পল, সেই রহস্য সমাধানের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গেলো ২৭ ডিসেম্বর থেকে মায়ের দেহ কাটতে শুরু করেছিলেন রিম্পল। কাটাকাটির কাজ চলে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। দেহ কাটার জন্য লালবাগের একটি দোকান থেকে তিনি বৈদ্যুতিক যন্ত্র কিনে এনেছিলেন। তবে কিছু দিনের মধ্যে ওই যন্ত্র খারাপ হয়ে যায়। এর পর তিনি আবার ওই একই দোকান থেকে আরও একটি যন্ত্র কেনেন।
ওই ঘটনায় দেখা যায়, মায়ের হাত এবং পায়ের টুকরো টুকরো অংশ জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন রিম্পল। দেহের বাকি অংশ রেখেছিলেন আলমারিতে। রিম্পলের এমন কাণ্ডের কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্যকর ছড়ায়।
