দেশজুড়ে

মিয়ানমারের গোলার আঘাতে যেভাবে নিহত হন হোসনে আরা

মিয়ানমারের গোলার আঘাতে যেভাবে নিহত হন হোসনে আরা
হোসনে আরার থেকে মাত্র ১০ হাত দূরে ছিলাম আমি। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে হোসনে আরা ‘আল্লাহ’ বলে ডাক দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর আমি গিয়ে  তাঁর হাতে ধরি। ওই সময় রান্নাঘর থেকে রক্তের স্রোত বয়ে যায়। এভাবেই গেলো সোমবার বাংলাদেশি নাগরিক হোসনে আরার নিহতের ঘটনার বর্ননা দিলেন আবুল বশর (১৪)। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহত হোসনে আরার স্বামীর হোটেলের কর্মচারী আবুল বশর। এ কিশোর জানায়, ঘটনার দিন সে গোসল করতে নলকূপে যাচ্ছিল। হোসনে আরার থেকে মাত্র ১০ হাত দূরে ছিল সে। গোলার আঘাতে হোসনে আরার শরীর থেকে রক্ত ছিটকে আবুল বশরের শরীরে এসে পড়ে। নিজের সামনে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় এই কিশোরও কাঁদছে। কিশোর আবুল বশরের সামনেই লুটিয়ে পড়েন হোসনে আরা। এদিকে নিহত নারীর পরিবারে চলছে আহাজারি, যে রান্নাঘরে কাজ করতে করতে হোসনে আরা নিহত হয়েছেন, সেই ঘরের খুঁটি ধরে কান্না করছেন ছোট ছেলে ইব্রাহীম। বিলাপ করতে করতে ইব্রাহীম বলেন, ‘আঁই মা হারে ডাইক্কুম? ঘরত থাহিয়েরেও তুই মরি গেলিগই মা। আঁর মা তো কিয়ার হতি নগরে। অ মারে মা  (আমি মা কাকে ডাকব? ঘরে থেকেও মারা গেলেন মা। আমার মা তো কারও ক্ষতি করে নাই। ও মা রে মা)।’ ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, জলাপাইতলী এলাকায় মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হওয়ার পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। মানুষ খুব ভয়ে সময় পার করছে। প্রসঙ্গত, গেলো ০৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে হোসনে আরা সহ এক রোহিঙ্গা নাগরিকও নিহত হন, এসময়ে হোসনে আরার নাতি নুশরাত মনি (৬) বাঁ পায়ে আঘাত পায়।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন মিয়ানমারের | গোলার | আঘাতে | যেভাবে | নিহত | হন | হোসনে | আরা