আন্তর্জাতিক
গ্রিসে দুই ট্রেনের ভয়াবহ সংঘর্ষ, নিহত ২৬
Published
1 year agoon
By
বায়ান্ন আন্তর্জাতিক ডেস্কদক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ গ্রিসে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮৫ জন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল সন্ধ্যায় লারিসার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত দু’টি ট্রেনের একটি যাত্রীবাহী, অপরটি মালবাহী ট্রেন ছিল। দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন ধরে যায়। আহতদের উদ্ধারে এবং আগুন নেভাতে সেখানে দ্রুত ছুটে যান জরুরি পরিষেবা সংস্থার সদস্যরা।
গ্রিসের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয়ে যাওয়া বগিগুলো থেকে আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।
আগুনের শিখা নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১৭টি গাড়ি উপস্থিত হয়।
কী কারণে দুই ট্রেনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ওই ট্রেন দু’টি থেসালোনিকি এবং লারিসার মধ্যে চলাচল করছিল।
দেশটির গভর্নর আগরোসতোস আরও জানিয়েছেন, ট্রেনের ভেতর থেকে প্রায় ২৫০ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
স্কাই নিউজের ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনের দুটি বগি বিধ্বস্ত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে এবং সেখান থেকে ধোয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে, অন্য বগিগুলোর জানালা ভেঙে গেছে। সংঘর্ষের মাত্রা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, ট্রেনের ধ্বংসাবশেষ উড়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে। বিধ্বস্ত বগির ভেতর কেউ আটকে আছেন কিনা সেটি দেখতে উদ্ধারকারীদের টর্চলাইট নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
ফায়ার ব্রিগেডের মুখপাত্র ভাসিলিস ভারথাকোগিয়ানিস জানিয়েছেন, ‘দুই ট্রেনের মধ্যে যেভাবে সংঘর্ষ হয়েছে, বর্তমানে খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে ৩৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন।
অন্যরা যা পড়ছেন
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
ফিলিস্তিনের গাজায় গেলো সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এত অভিযান, ধরপাকড় ও দমন-নিপীড়নেও দমছে না ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ। বরং, নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় বিক্ষোভের এ ঢেউ আছড়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও। ইতোমধ্যে বিক্ষোভের এ ঢেউ প্রবল আকার ধারণ করতে শুরু করেছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, লেবানন ও জর্ডানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও।
বিক্ষোভ দমনে গেলো এক সপ্তাহে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই হাজারেও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এখনও চলছে ধরপাকড়। এরমধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলপন্থীরা।
গেলো বৃহস্পতিবার (২ মে) থেকে কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং অটোয়া ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি, ইসরায়েলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ভাঙতে হবে এবং দেশটিতে যাবতীয় বিনিয়োগ ও সহায়তা বন্ধ করতে হবে।
কানাডার বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দিয়ে ইসরায়েলে কোনো বিনিয়োগ চলবে না। ইসরায়েলি বর্ণবাদ, দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনের অবৈধ বসতি স্থাপন থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক শেষ না করা পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলতে থাকবে।
এদিকে মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ দমনে পুলিশি হস্তক্ষেপের অনুরোধ করলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কানাডার আইন প্রয়োগকারীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়, তারা এখনও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতির অবনতি না হওয়া পর্যন্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুরোধে সাড়া দেবেন না।
দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। তাতে তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার জায়গা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জায়গা; তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা কেবল নিরাপদবোধ করলেই এটি কাজ করে। এই মুহূর্তে নিরাপদ বোধ করছে না ইহুদি শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভের আঁচ লেগেছে ইসরায়েলের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াতেও। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানান তারা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি তোলেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলোর মতো অস্ট্রেলিয়াতে এখন পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয়নি পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন শুরু হলেও অনেকটা শান্ত ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর এখন আরও সোচ্চার হয়ে উঠতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। বিশেষ করে দেশটির বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুততার সঙ্গে ভারী হচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন। বিক্ষোভকালে সরকার ও প্রধানমন্ত্রীবিরোধী স্লোগানও বের হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে। এরপরও এখন পর্যন্ত মারমুখী অবস্থানে যায়নি পুলিশ; ঘটেনি কোনো সহিংস ঘটনা।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মার্ক স্কটও বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেয়া হবে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের মতো সহিংসতা দেখা যায়নি।
তিনি জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকবে, কোনো গোলযোগ হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেবে না।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী এ বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়ার সাধারন নাগরিকরাও। অনেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন ক্যম্পাসে।
বিক্ষোভকারীদের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মতো এতটা সহনীয় মনোভাব দেখাচ্ছে না ফ্রান্স সরকার। ইসরায়েলবিরোধী মতাদর্শ দমনে দেশটি অবলম্বন করেছে মার্কিন পন্থা। শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় কদিন আগেই লিওঁতে অবস্থিত স্বনামধন্য ইনস্টিটিউট অব পলিটিক্যাল স্টাডিজ (সায়েন্সেস পো) এর জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ ঘোষণা করেছে সেখানকার সরকার। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের দমনে দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আতাল বলেছেন, উত্তর আমেরিকা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তার দেশের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীরা যে মতাদর্শ প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে, তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করবে না তার সরকার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ ও ইসরায়েলপন্থীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনার পর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যুক্তরাজ্যের ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। সম্প্রতি তার দাপ্তরিক এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা বরাবরই বলে আসছি যে আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যেকোনো ধরনের বিক্ষোভে পুলিশ তার শক্তি প্রয়োগ করার অধিকার রাখে এবং যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা তা করবো।’
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে সীমিত আকারে প্রতিবাদ জানানো হলেও সম্প্রতি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করার পর গত কয়েক দিনে ওই বিক্ষোভের হাওয়া এসে লাগতে শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। ইতোমধ্যে লন্ডন, ম্যানচেস্টার, শেফিল্ড, ব্রিস্টল ও নিউক্যাসলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দানা বেঁধেছে ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ।
উল্লেখ্য, হামাস নির্মূলের নামে সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ সময়ে আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।
টিআর/
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্দে দো সুল। এ পর্যন্ত এই রাজ্যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ৭০ জন।
শুক্রবার (০৩ মে) এ তথ্য জানায়। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে সীমান্ত লাগোয়া রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্যে গেলো সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে রাজ্যের ৪৯৭টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু ও নিখোঁজের পাশাপাশি এসব শহরের কমপক্ষে ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বৃষ্টিতে রিও গ্রান্দে দো সুলের বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক ও সেতু। এছাড়া ঝড়ের কারণে ভূমিধ্বস দেখা দিয়েছে। স্থানীয় একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের আংশিক ধসে পড়েছে। আরেকটি জলাধারও ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
টিআর/
কানাডার নাগরিক এবং শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। শুক্রবার (৩ মে) কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) বার্তাসংস্থা রয়টাসের্রর দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)।
আরসিএমপি জানিয়েছে, সম্ভাব্য গ্রেপ্তার এড়াতে এই তিন জন এডমন্টন থেকে নিজেদের আবাস গুটিয়ে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোমবারের মধ্যে তাদের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে নিজেদের পৃথক রাষ্ট্র খালিস্তান বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ভারতীয় শিখদের একাংশ। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের অভ্যন্তরে সেই আন্দোলন দমনে সফল হয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে ভারতে থেকে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপে গিয়ে স্থায়ী হওয়া খালিস্তানপন্থি শিখরা আন্দোলন জারি রেখেছেন। হরদীপ সিং নিজ্জর ছিলেন কানাডার খালিস্তানপন্থি শিখদের সংগঠক ও আধ্যাত্মিক নেতা। ১৯৭৭ সালে তিনি ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে দেশটিতে গিয়েছিলেন, পরে সেখানাকার নাগরিকত্বও অর্জন করেন।
ভারতের অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন খালিস্তানি টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিসের কানাডা শাখার সংগঠক ও নেতা হওয়ার কারণে নয়াদিল্লির একজন তালিকাভুক্ত ফেরার সন্ত্রাসীও ছিলেন হরদীপ। দু’টি সংগঠনই ভারতে নিষিদ্ধ।
গেলো ২০২৩ সালের ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বৃহত্তম শহর ভ্যানকুভারের শহরতলী এলাকা সারেতে একটি গুরুদুয়ারার (শিখ ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়) সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর।
এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
গেলো বছর ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেয়া এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। এ ঘটনাকে কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য তীব্র অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
নয়াদিল্লি অবশ্য এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘মনগড়া’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে হরদীপ হত্যার তদন্ত শুরু করে কানাডা।
শুক্রবার তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর আরসিএমপির সুপারিন্টেডেন্ট মনদীপ মুকার রয়টার্সকে বলেছেন, ‘ভারতের সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।’
আরসিএমপির কমিশনার ডেভিড টেবৌল বলেছেন, ‘তদন্ত এখনই শেষে হচ্ছে না; কারণ আমাদের ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও লোকজন যুক্ত। আমরা প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করার লক্ষ্য নিয়েছি।’
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে রাজধানী অটোয়ায় ভারতের প্রধান দূতাবাস কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স; কিন্তু কোনো মুখপাত্র ও কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি।
টিআর/
জাতীয়
লরিচাপায় প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৩ জনের
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে লরিচাপায় একই পরিবারের ৩ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। নিহতরা হলেন- আলমগীর (৫৫), জহির...
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে আরও দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে। সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম, স্কোর ২৭...
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
রাজধানীর বকশীবাজারে মৌমিতা বাসের চাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আহত হওয়া আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামে ওই পথচারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ...
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে প্রাণ হারানো আট বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে স্বজনদের...
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি, ঘটনাস্থলে বিজিবি মোতায়েন
গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে ছোট দেওড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে একটি যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন ধাক্কা দিলে...
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
বাংলাদেশে থাকা বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো তাদের টিকেটের ভাড়া ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে।পাশাপাশি ফ্লাইটের সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। আর এতে ভোগান্তি ও আর্থিকভাবে...
সাগরে নেই মাছ, খালি হাতে কূলে ফিরছেন জেলেরা
গভীর সাগরে দেখা নেই মাছের। জাল ফেললেও মিলছে না সামুদ্রিক মাছ। ফলে শূন্য ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে ফিরছেন কক্সবাজার উপকূলের...
গাঁজার চালান নিতে এসে দেবর-ভাবি গ্রেপ্তার
কুরিয়ার সার্ভিসে আসা গাঁজার চালান ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে দেবর-ভাবিকে আটক করেছে বরগুনার আমতলী থানা পুলিশ। গেলো বৃহস্পতিবার রাত ৯টায়...
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রায় দেড় কিলোমিটার মোটরসাইকেলসহ আরোহীকে টেনে নিয়ে...
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। মুক্ত সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক...
লরিচাপায় প্রাণ গেলো একই পরিবারের ৩ জনের
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী
ব্রাজিলে ভারী বৃষ্টিতে ৩৯ জনের মৃত্যু
হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ড: ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
২৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ আজ
ঢাকাসহ ৫ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
বড় জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
দুধ দিয়ে গোসল করে দল ত্যাগ বিএনপি নেতার
দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি শেষে ফিরলেন শান্ত
মার্কিন ঘাঁটিতে ঢুকে পড়লো রুশ বাহিনী
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীতে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- আবহাওয়া7 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
- ঢাকা4 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- টুকিটাকি5 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- অপরাধ3 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- দেশজুড়ে3 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
- খুলনা6 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
- আন্তর্জাতিক5 days ago
সন্তানদের নিয়ে মসজিদে ঘুমন্ত ইমামকে পিটিয়ে হত্যা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন