আমদানি-রপ্তানি
লাগামহীন পেঁয়াজের বাজার
দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে, রয়েছে মজুতও। বাজারে সরবরাহও অনেকটা স্বাভাবিক। কিন্তু ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি বন্ধ, এই অজুহাতে প্রতিদিনই বাড়ছে সংসারের অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম। মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের অন্যতম বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮২ টাকা। অথচ ১৫ দিন আগে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং মাসখানেক আগেও বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। আমদানি বন্ধের অজুহাতে প্রায় প্রত্যেক দিনই বেড়েছে পণ্যটির দাম।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রেখেছে সরকার। গত ১৫ মার্চ থেকে আমদানি অনুমতিপত্র দিচ্ছে না সরকার। চাহিদার পুরোটা মেটানো হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ দিয়ে।
আবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। গত অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টন। এ হিসেবে চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়েছে। তারপরও অজানা কারণে পণ্যটির দাম বাড়তির দিকে রয়েছে।
ভোক্তাদের অভিযোগ, সরবরাহ ও মজুত ঠিক থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এমতাবস্থায় নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। শীঘ্রই প্রশাসনের নজরদারি বাড়িয়ে পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে হবে। না হলে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে এবং আরও বাড়তে থাকবে পণ্যটির দাম। যদিও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এজন্য দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। সরকার আমদানির অনুমতি দিলে বাজার স্বাভাবিক হবে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দেশে প্রচুর পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সিন্ডিকেটের কারণে দাম বাড়ছে। আমদানি বন্ধ, এটা একটা অজুহাত। আমার ধারণা, এক্ষেত্রে হয়ত আমদানিকারকদের একটা যোগসাজশ থাকতে পারে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, শীঘ্রই বাজার তদারকিতে দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে নামবেন। বাজারে সাপ্লাই চেইনে কোনো ঘাটতি আছে কি না দেখবেন তারা। এরপর যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
অর্থনীতি
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি বাড়ায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আপত্তি
ইউরোপসহ নানা দেশে রপ্তানির জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশ থেকে আসা তৈরি পোশাকের পরিমাণ এতটাই বেড়ে গেছে যে, ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা বাড়তি মূল্য দিয়ে তাঁদের রপ্তানি পণ্যের জন্য জায়গা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতে ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা চাইছেন তাদের পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হোক।
রোববার (৫ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বৃটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে ইতোমধ্যেই দুদফায় আলোচনা করেছেন ভারতীয় রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠনগুলি।
এদিকে বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমই এ জানায়, ভারতীয় রপ্তানিকারকদের দাবি খুবই অযৌক্তিক। কারণ বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির সামান্য একটা অংশই ভারতের মাধ্যমে যায়। ফলে তাদের পণ্যের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরে ‘মালামালের জট’ লাগার কথা না।
প্রসঙ্গত, গেলো ২০২৩ সাল থেকে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি বন্ধ হয়ে এটি দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
আই/এ
অর্থনীতি
দেশে টানা সপ্তম দফায় কমলো স্বর্ণের দাম
২৪ ঘন্টার ব্যবধানে টানা সপ্তম দফায় কমলো স্বর্ণের দাম। এ দফায় ৪২০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের একভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে মোট ৮ হাজার ৩৮৭ টাকা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বিষয়য়ি নিশ্চিত করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১১ হাজার ৪১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৮৬৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ৫৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৭ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১০ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিলো ২৯ বার।
আই/এ
অর্থনীতি
টানা ৬ষ্ঠ দফায় কমলো স্বর্ণের দাম
চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে ৬ষ্ঠ দফায় কমেছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে টানা ৬ দফায় স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে মোট ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯১ হাজার ২০১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দেশের বাজারে ১৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৯ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিলো ২৯ বার।
- ঢালিউড6 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
- আন্তর্জাতিক7 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
- তথ্য-প্রযুক্তি6 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
- ঢালিউড6 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- পরামর্শ7 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
- জাতীয়2 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
- বাংলাদেশ5 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
- ঢাকা2 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন