Connect with us

জাতীয়

৯৫ শতাংশ আনডিটেক্টেড কেস সলভ করে ফেলছে পুলিশ : আইজিপি

Avatar of author

Published

on

আগে কোনো মামলা তদন্ত করতে হলে সোর্সের ওপর নির্ভর করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, তদন্ত সংক্রান্ত আধুনিক প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জামাদির সংযোজন ও জনবল বৃদ্ধিসহ সব কিছু মিলে তদন্তে আমরা এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছি যে, পুলিশ এখন ৯৫ শতাংশ আনডিটেক্টেড কেস সলভ করে ফেলছে। বললেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বুধবার (৩১ মে) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইজিপি।

পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সেদিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর্থ-সামাজিক উন্নতি ঘটেছে। এর সুফল আমরা সবাই ভোগ করছি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দুর্বার গতিতে এই দেশ এগিয়ে চলেছে। সেই উন্নয়নের সারথি হয়ে পুলিশ-সাংবাদিকসহ সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, পুলিশের সঙ্গে অপরাধ বিষয়ক রিপোর্টারদের সংগঠন ক্র্যাবের সঙ্গে একটা ভাল সম্পর্ক রয়েছে। পরস্পর আমরা অনেক কাজও করি। নির্বাচনী ডিউটিতে পাশাপাশি কাজ করে থাকি। দায়িত্বের চেয়ে তাই পারস্পারিক প্রত্যাশাটাও আমাদের বেশি।

ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, বাংলাদেশে ক্রাইম রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে ক্র্যাব পেশাগত মানোন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে ক্রাইম রিপোর্টারদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ক্র্যাব সভাপতি।

Advertisement

এসময় ক্র্যাবের সহসভাপতি মাসুম মিজান, সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশীদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ সদর দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

অপরাধ

এমপি আজিম হত্যা মামলার এজাহারে যা বলা হয়েছে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি  আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে অপহরণ মামলা করেছেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার রোবায়েত জামান এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী।

মামলার এজাহারে যা আছে

মামলায় মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, ‘মানিক মিয়া এভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।

১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লিখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নাই। আমি পরে ফোন দেব।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

Advertisement

বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজসে বাবাকে অপহরণ করেছে।’

ভারতীয় পুলিশ কী বোলছে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার মরদেহ উদ্ধার হয়নি বলে জানি য়েছে কলকাতা পুলিশ। তিনি খুন হয়েছেন কিনা সেটিও নিশ্চিত করা হয়নি বলেও তারা জানায়।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনস থেকে বেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)অখিলেশ চতুর্বেদী গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ গত ২০ মে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই কেসটিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করার একটি নির্দেশ আসে। এরপর আজ ২২ তারিখে আমাদের কাছে একটি তথ্য আসে যে, তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরে আমাদের পুলিশ এই ফ্ল্যাটটিকে শনাক্তকরণ করে। কারণ এখানেই তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে আরও তদন্ত চলছে। সিআইডি এই তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে।’

Advertisement

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পশ্চিমবঙ্গের আইজিপি জানান, ‘এখন পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়নি। আমরা কেসের তদন্ত শুরু করেছি। আমাদের কাছে যা তথ্য রয়েছে, তাতে ১৩ তারিখে তিনি এই ভবনে ঢুকেছিলেন। তবে এর আগে এসেছিলেন কি না সেটি আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। যদিও বিষয়টি এখনো তদন্তসাপেক্ষ।

মরদেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তার ব্যাপারে জানতে চাইলে  অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, ‘এটি এখনই বলা সম্ভব নয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফটোগ্রাফি সব টিমকে এই তদন্তে ইনভাইট করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেন।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের  জবাবে পশ্চিমবঙ্গের এই আইজিপি বলেন, ‘যে ফ্ল্যাটটিতে ওই সংসদ সদ্য এসে উঠেছিলেন, সেটি সন্দীপ রায় নামে এক ব্যক্তির। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দপ্তরে কাজ করেন। তিনি ভাড়া দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা (প্রবাসী বাংলাদেশি) আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে।’

প্রসঙ্গত,  গেলো ১২ মে চিকিৎসার জন্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তার ভারতীয় ঘনিষ্ঠ বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার মলপাড়া লেনের বাসিন্দা স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসককে দেখানোর উদ্দেশে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায়় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। উল্টো দিল্লি গিয়ে সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে জানান, তাকে আর ফোন করতে হবে না। দরকার হলে তিনি তাকে (গোপাল বিশ্বাস) ফোন করবেন। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপরই কোনও উপায় না দেখে গত ১৮ মে শনিবার বরানগর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গোপাল বিশ্বাস।

Advertisement

আনোয়ারুল আজিম আনার ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একটানা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীর একটি কারখানায় অভিযান, ৬৫ হাতবোমাসহ আটক ৩

Published

on

সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় একটি বোমা তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬৫টি হাতবোমাসহ ৩ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (২২ মে) রাত ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক জানান, পূর্ব-বাড্ডার টেকপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে অবৈধ হাতবোমা ও বোমা তৈরির কারখানার খবর পাওয়ার পর বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়।  পরে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পৌঁছালে অভিযান পরিচালনা করে  র‌্যাব-৩। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ৬৫টি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়।

আটক হওয়াদের মধ্যে একজন এর আগেও বোমা তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল বলেও তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর পরিচালক বলেন, চলমান উপজেলা নির্বাচনে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যেই বোমাগুলো এ কারখানায় তৈরি হচ্ছিল বলে তারা ধারণা করছেন। র‌্যাব ঘটনার তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

Advertisement

এর আগে, রাজধানীর পূর্ব বাড্ডার টেকপাড়া এলাকার ওই বাড়িতে হাতবোমাসহ বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে বাড়িটি ঘিরে রেখেছে বলে জানায় র‌্যাব। বুধবার (২২ মে) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা তখন জানায়, ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে র‍্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। এই মুহুর্তে তাঁদের অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

এমপি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণ মামলা

Published

on

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি  আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে অপহরণ মামলা করেছেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আহাদ আলী।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গেলো ১১ মে ভুক্তভোগী ভিডিও কলে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এসময়ে তাঁর বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপরে একাধিকবার চেষ্টা করেও মুমতারিন তাঁর বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। পরে ১৩ মে নিহত এমপির ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে এক মেসেজে তাকে বলা হয় এমপি আনোয়ারুল অমিত সাহার কাজে যাচ্ছেন। তাকে ফোন দেয়ার দরকার নেই।

মামালায় মুমতারিন জানান, এই খুদে বার্তাগুলো অপহরণকারীরা তাঁরা বাবার মুঠোফোন ব্যবহার করে দিয়ে থাকতে পারে। বাবার সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে মুমতারিন তাঁর বাবার ভারতীয় বন্ধুর মাধ্যমে বরানগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এদিকে মামলা দায়েরের আগে  দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে যান এমপি আনারের কন্যা। পরে সেখানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

এসময়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বলেন, ‘আজ আমি এতিম হয়েছি, যার বাবা থাকে না তার কেউ থাকে না। বাবার সঙ্গে আমার ভিডিও কলে সর্বশেষ কথা হয়েছিল।’

এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ডিএমপি গোয়েন্দা প্রধান জানান, একজন সংসদ সদস্যকে বাংলাদেশি অপরাধীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি যারা আছে তাদের প্রত্যেককে  আইনের আওতায় আনা হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গেলো  ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত